‘বিদ্যুতের সাময়িক মূল্য বৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আরো সহজতর ও সহজলভ্য করার জন্য সাময়িকভাবে একটু মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। আমরা আশা করি জনগণ এটা মেনে নেবে।

তিনি বলেন, শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য আপনাদের সাময়িক কষ্ট হবে। এতে আপনাদের ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ চলবে, বিদ্যুতের কোন ঘাটতি হবে না।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বর্তমানে ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। মুজিব বর্ষে ১০০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবেন। এটাই শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর হাতিরপুলে ফিকামলি সেন্টারে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিএনপি আমলের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়েছে। বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে ছিলেন আপনারা। দিনের পর দিন বিদ্যুৎ-পানি থাকতো না। হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিত বিএনপি সরকার।

দিল্লিতে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের দিল্লি শহরে অভ্যন্তরীণ সংকট চলছে। একথা সত্য পাশের ঘরে আগুন লাগলে সে আগুন প্রতিবেশীর ঘরেও আসে। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। তাদের সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। আমি ভারত সরকারকে বলব—দিল্লিতে যে রক্তপাত চলছে, তা আর না বাড়িয়ে অতি দ্রুত সমাধান করে নেবেন, এটাই আমরা বলতে পারি।

তিনি আরো বলেন, দিল্লিতে যে দাঙ্গা চলছে তার জন্য ১৯৭১ সালের সেই রক্তের অক্ষরে লেখা বন্ধুত্বকে আমরা বিসর্জন দিতে পারি না। মুজিব বর্ষের উৎসবে ভারতকে যদি আমরা আমন্ত্রণ না জানাই, এটা হবে অকৃতজ্ঞতা। কাজেই সেই দুঃসময়ের বন্ধুদের বাদ দিয়ে মুজিব বর্ষের উৎসব আমরা পালন করতে পারি না। কাজেই মুজিব বর্ষের উৎসবে ভারত প্রতিনিধিত্ব করবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। ভারত যাতে নিজেরা আলোচনা করে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করে, এ ব্যাপারে তাদের সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।

এ সময় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে আপনারা যে দুই মেয়রকে নির্বাচিত করেছেন তার জন্য আপনাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচনের পর দুই মেয়র শপথ নিয়েছেন। তারা দায়িত্ব নেওয়ার পরেই গণশুনানি করবেন। আপনাদের কাছে যাবেন, আপনাদের যা সমস্যা সেগুলো গণশুনানিতে তাদের জানাবেন। দুই মেয়র আপনাদের সমস্যার সমাধান করবেন।

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক বলেন, ডেঙ্গু মশার কারণে গতবছর কিছুদিন অশান্তিতে কেটেছে। এবারের নতুন মেয়রদের শপথ গ্রহণের সময় শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন এই ভোট যেন মশা খেয়ে না ফেলে। এখন থেকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব হতে পারে। তাই এখন থেকে ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজেরা প্রস্তুত হতে হবে, জনগণকে প্রস্তুত করতে হবে।

শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাই গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার জন্যই দেশ আজ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা যাতে মানুষকে দুর্ভোগে না ফেলতে পারে সেজন্য অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। আপনারা এই শুদ্ধি অভিযানে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে সহযোগিতা করবেন। সারা দুনিয়াকে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের দলের ভিতরে প্রথম শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। দলের লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

শহীদ সেলিম-দেলওয়ার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য মঞ্চের সভাপতি রুহুল আমিন মজুমদার, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালসহ আরো অনেকেই।