সবুজবাগে গ্রেফতার জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিলো নাশকতা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়/ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর সবুজবাগে গ্রেফতার আনসার আল ইসলামের পাঁচ জঙ্গি নাশকতামূলক কাজ করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একত্রিত হয়েছিল।

আর এই গোয়েন্দা তথ্য কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাছে আসার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতি, ৩টি ব্যাগ ও ৪টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার জঙ্গিরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভুইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার জঙ্গিরা সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় একত্রিত হয়। সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপ ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল-ইসলাম সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দাওয়াত প্রাপ্ত হয়। দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা সংগঠনে যোগদান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সীর মাধ্যমে যোগযোগ করে এবং সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত বলে জানায়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আনসার আল-ইসলামের নেতা আবু কায়সার ওরফে রনি’র নির্দেশে এই গ্রুপের সদস্যরা ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনা করেছিল। এ সংক্রান্তে ইতোপূর্বে আনসার আল-ইসলাম এর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের সংগঠনের দাওয়াত প্রদানকারী নাজমুল ওরফে উসমান গনি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারী ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদ বিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান’কে হত্যা প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনায় সমন্বয় করে। সে কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রামে ‘এসো কাফেলা বদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেন। এ সংক্রান্তে ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে নাজমুল দেশে ফিরে এসে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনের জন্য কাজ করছে বলে জানা যায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ সংক্রান্তে সবুজবাগ থানায় গ্রেফতাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলেও তিনি জানান।