খুলনা উপকূলের বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে গ্রামবাসী
খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গেটের কাছে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাত থেকে ভাঙন শুরু হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে উপকূলবাসী। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
কয়রা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আক্তারুজ্জামান বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়। বাঁধের কিছু জায়গার মাটি ধসে পড়েছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে কয়রা ইউপির ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাঁধ ভাঙ্গা শুরু হওয়ার পরপরই এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক বালির বস্তা দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছি।
কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পরে ধীরে ধীরে বাঁধ ভাঙতে শুরু করে। পরে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেছে। সময়ের ব্যবধানে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়ছে। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা না নিলে নোনাপানিতে বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সেকশন অফিসার মশিউল আবেদীন বলেন, গত রাতে ভাঙনের কথা জেনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।