আইসিজের রায় না হলে হয়তো আরো ৬ লাখ রোহিঙ্গা খুন হতো

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা সংকট: জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার বিষয়ক সংলাপে অংশ নেন মো. শহিদুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

রোহিঙ্গা সংকট: জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার বিষয়ক সংলাপে অংশ নেন মো. শহিদুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) যদি গণহত্যা বন্ধের মতো কড়া রায় না দিতেন, তাহলে মিয়ানমারের বাকি ছয় লাখ রোহিঙ্গাও হয়তো হত্যার শিকার হতো। তবে আইসিজের রায় বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে কিছু বলেনি।

শনিবার ( ২৫ জানুয়ারি) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোহিঙ্গা সংকট: জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার’ বিষয়ক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

শহিদুল হক বলেন, রাখাইনে বসবাসরত সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী যাতে গণহত্যা না চালায়, কিংবা উস্কানি না দেয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মিয়ানমার কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী চার মাসের মধ্যে আইসিজের কাছে জমা দিতে হবে। এরপর প্রতি ছয় মাসে একটি করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ সব নির্দেশ মিয়ানমারের পক্ষে এড়িয়ে চলা কঠিন হবে। বাংলাদেশের ওপর এখন রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব বেড়ে গেল। অন্যদিকে মিয়ানমার চাপে থাকলেও বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে দ্বিপক্ষীয় পদক্ষেপ বজায় রাখবে, যোগ করেন শহিদুল হক। 

তিনি বলেন, আইসিজের রায় রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গাদের কথাই বলা হয়েছে।

ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ নাগরিকের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের মানুষ তাদের সীমান্ত এবং হৃদয় খুলে দিয়ে যে মহানুভবতা দেখিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা। আইসিজে যে রায় দিয়েছে, তাতে কানাডা সন্তুষ্ট। তবে এটি শুধু শুরু, আমাদের লড়াই করতে আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় আমরা পিছপা হব না।

মিয়ানমার কয়েক মাসে কী করে, তাই দেখার বিষয়, তবে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। আমরা জানি, আইসিজের সিদ্ধান্ত একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে এখন নতুন করে ভাবতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে কানাডা, যোগ করেন কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন।