ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ক্যাবের
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জনপ্রিয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুসরণীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে ভর্তি ও পুনঃভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সময় পুনঃভর্তি, উন্নয়ন ফিস, টিসি গ্রহণের সময় পুরো বছরের ফিস আদায়, নতুন সেশনে ভর্তিসহ ইত্যাদি নামে-বেনামে হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বেপজাসহ বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত স্কুলেও নানা অজুহাতে ভর্তি, পুনঃভর্তি এবং টিউশন ফি দ্বিগুণ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ভর্তি বাণিজ্য কঠোর ভাবে মনিটরিং করে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেনের কাছে দাখিলকৃত এক পত্রে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, ডিসেম্বর মাস থেকে নগরীতে শুরু হয়েছে কেজি স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য। সরকারি ও নামিদামি স্কুলে ভর্তির জন্য কোচিং ব্যবসা, ভর্তির সময় ডোনেশন, বিভিন্ন ফিস আদায় করে মধ্যবিত্তসহ সকল নাগরিকদের মাঝে শিক্ষা অধিকারের পরিবর্তে একটি অতি খরচ নির্ভর পণ্যে পরিণত হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিককে ভর্তি, পুনঃভর্তি, টিউশন ফিস, বই-খাতা ইত্যাদির নামে এতো খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব নেতা সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।