সঠিক নেতৃত্ব আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন এনেছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, 'সঠিক লিডারশীপের কারণে আমাদের আর্থিক অবস্থার একটি পরিবর্তন হয়েছে তা এখন দৃশ্যমান। কমেছে দারিদ্র্যতার হার। আমাদের পার ক্যাপিটাল ইনকাম ৫০০ ডলার থেকে ২০০০ ডলার হয়েছে।'

তিনি আরও যুক্ত করে বলেন, 'পার ক্যাপিটাল ইনকাম বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বর্জ্যও বেশি হচ্ছে। সঙ্গত কারণে মেডিকেল বর্জ্য, ভেহিক্যাল বর্জ্য, ই-বর্জ্য, ডোমেস্টিক বর্জ্যসহ বিভিন্ন জায়গায় থেকে বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এগুলো আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।'

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে শহীদ মনসুর আলী সরণিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ৫৩টি পৌরসভা এবং ৮টি সিটি করপোরেশনের কঠিন ও পয়বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফিজিবিলিটি স্টাডি কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আরো বলেন, 'ছোট ছোট বর্জ্য পাহাড় সমান সমস্যা তৈরি করবে। যার ফলে আমাদের সমস্ত উন্নয়ন ব্যাহত হয়ে যেতে পারে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে বর্তমানে সকল বর্জ্যকে ডাম্পিং করা হয়। সুতরাং এখন সময় এসেছে সঠিক উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার যেগুলো উন্নত দেশে রয়েছে।'

এসময় বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'দু ধরনের বর্জ্য হয়ে থাকে একটি ইনঅর্গানিক আরেকটি অর্গানিক। ইন অর্গানিক যেসব বর্জ্য আছে সেগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টে দিয়ে এনার্জি উৎপাদন করা যাবে। এবং অর্গানিক বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা যাবে। এই ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট আমাদের দেশের পৌরসভাগুলোতেও করা হবে। তবে তার জন্য সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার সহযোগিতা দরকার। উন্নত দেশে এই ধরনের ব্যবস্থা আছে।

মন্ত্রী সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'যার যার যা দায়িত্ব আছে আপনারা পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমি কথা বলেছি কিছু গাড়ি দেওয়া হবে সকল পৌরসভায় বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য। এডিস মশাসহ যেকোনো সমস্যার জন্য আমাদের সকলের সচেতনতা বাড়াতে হবে।'

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডভাইজর আরবান এন্ড স্যানিটেশন নীলিমা টোটাসহ পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।