ভারত বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাম নাথ কোবিন্দের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন মুহাম্মদ ইমরান/ ছবি: সংগৃহীত

রাম নাথ কোবিন্দের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন মুহাম্মদ ইমরান/ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, ভারত সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে এবং সে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

ভারতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে (রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ) ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সব দিক দিয়ে বিশেষত সুরক্ষা, যোগাযোগ এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও দৃঢ় ও গভীর সহযোগিতার আশা করি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণজয়ন্তী এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরের যৌথ উদযাপনে ভারত বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত।

হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে তার স্ত্রী ডা জাকিয়া হাসনাত ইমরান এবং মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুহাম্মদ ইমরান প্রয়াত রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীর স্থলাভিষিক্ত হলেন। ইমরান প্রায় সাত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করার পরে ভারতে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মুয়াজ্জেম আলী ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসাবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নেবার পর গত ডিসেম্বরে মারা যান। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি মরহুম রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীকে ভারতের একজন ভাল বন্ধু এবং সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসাবে বর্ণনা করে স্মরণ করেন।

তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। জবাবে নতুন হাই কমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান তাকে।

ইমরান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ভারত সরকার এবং জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি ব্যতিক্রমী পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এটিকে “সেরা” এবং “প্রতিবেশী সম্পর্কের মডেল” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রপতিকে আশ্বাস দেন যে তিনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও প্রসারিত ও একীভূত করার জন্য তার সরকারের লক্ষ্য অর্জনের অবিরাম চেষ্টা করবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ উদযাপনের কথা উল্লেখ করে হাই কমিশনার ‘মুজিব বর্ষ’ প্রসঙ্গে বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নরেন্দ্র মোদীসহ একাধিক ভারতীয় নেতার অংশগ্রহণের প্রত্যাশায় রয়েছে। এই বছরের ১৭ মার্চ ঢাকায় উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে।