এমপি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে স্পিকারের শোক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সদ্য প্রয়াত এমপি ইসমাত আরা সাদেক

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সদ্য প্রয়াত এমপি ইসমাত আরা সাদেক

যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

বিজ্ঞাপন

এক শোক বার্তায় স্পিকার বলেন, ‘তার মৃত্যুতে জাতি এক সমাজসেবক রাজনীতিবিদকে হারাল। দেশের জন্য তার অনবদ্য অবদান তাকে স্মরণীয় করে রাখবে। স্পিকার মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।’

এদিকে, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আর নেই

ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে বগুড়া ভি এম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ও ১৯৫৮ সালে ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯২ সালে তিনি ও তার স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন ও তখন থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের সদস্য ছিলেন।

তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।

ইসমাত আরা সাদেকের স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। সাবেক এই সচিব আওয়ামী লীগ থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।