ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন হয়েছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা মুহূর্তের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ক্ষণগণনার বিশেষ মুহূর্তকে উদযাপন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষণগণনা কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনার সূত্রপাত করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
মহান নেতার দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দীজীবন শেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের কথা শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ করেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। এ দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সকল বাংলাদেশিকে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।