অর্থনৈতিক কূটনীতি চালানোর নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা বজায় রাখতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনপ্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বিভিন্ন দেশের সরকার, নীতিনির্ধারণী মহল ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রাখতেও নির্দেশ নির্দেশনা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিদেশস্থ বাংলাদেশের মিশনপ্রধানদের কাছে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাময় নতুন বাজার অনুসন্ধানে মিশনসমূহকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সার্বিক বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে আরও মনোযোগী হতে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করতে পারি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যের নতুন বাজার তৈরির পাশাপাশি বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) গঠনের মাধ্যমে সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান করছে।

বাংলাদেশে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে মিশনসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব যেসব নীতি গৃহীত হয়েছে, এবং যেসব প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে, তা স্বাগতিক দেশসমূহের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নিকট তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে মিশনসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে সকলকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, বিভিন্ন প্যাকেজের বিবরণ ইত্যাদি সকল সহায়তা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদান করবে।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বিগত দশকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি অভাবনীয় বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকার সকল অংশীজনকে সাথে নিয়ে এ সকল মিথ্যা প্রচারণাকে প্রতিরোধ করার জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের এ বিষয়ে বিশেষ করণীয় রয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের যেকোন প্রচারণা সম্পর্কে দূতাবাসসমূহকে সজাগ থাকতে হবে, এবং উদ্ভূত যেকোন পরিস্থিতিতে দূতাবাসসমূহকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার জন্য মিশনসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশা করেন।