নিরাপত্তা ছাড়া একদিনও বাঁচতে পারবেন না: র‍্যাব ডিজি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে র‌্যাব ডিজি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে র‌্যাব ডিজি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইংরেজি নববর্ষ পালনে এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো খারাপ খবর আসেনি জানিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আপনি হয়তো খাবার ছাড়া বাঁচতে পারেন ২১ দিন, কিন্তু নিরাপত্তা ছাড়া একদিনও বাঁচতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত সাড়ে রাত ১২টায় গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বেনজীর আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় দেশবাসী নিরাপদে উৎসব পালন করছেন। দেশ শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতেও আমরা খবর নিয়েছি সর্বশেষ পরিস্থিতি ভালো। ঢাকা শহররে যে যেখানে উৎসব করছে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে করছে। তিনি দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের পাশাপাশি মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উৎসব বিঘ্নিত হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব ডিজি বলেন, কোনো উৎসব বিঘ্নিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। উৎসব যাতে করে আরও নিরাপদ হয়, সুশৃঙ্খল হয় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নতুন বছরে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কী বলতে চান, এমন প্রশ্নের উত্তরে বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা দেশবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে দায়িত্ব পালন করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত নীতি অনুসারে জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। এই তিন জায়গায় উদ্দেশ্য ঠিক রেখে বাংলাদেশ যেন আবার জঙ্গিদের খপ্পরে না পরে, সে বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান রয়েছে, সেটিও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের বিদেশিরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কি না জানতে চাইলে র‍্যাবের ডিজি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা মোটেও উদ্বিগ্ন নন। ডিপ্লোমেটিক জোনের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। আপনি যেখানেই হাঁটেন না কেন, সেখানেই ছবি ক্যাপচার হয়ে যাবে। এই এলাকায় রাত তিনটার সময়ও নারীরা রাস্তায় নিরাপদে চলাচল করতে পারে, যা আগে পারতো না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে গত ১০ বছরে অনেক জঞ্জাল পরিষ্কার করেছি। ঢাকা এখন বিশ্বের নিরাপদ শহরগুলো অন্যতম।