কবি, সাহিত্য সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা এজাজ ইউসুফীর ৬০তম জন্মোৎসব বুধবার (১ জানুয়ারি)। এদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি হলে আবৃত্তি, আলোচনা ও গানের মাধ্যমে কবির জীবন ও কর্মের নানাদিক স্পর্শ করা হবে।
উত্তরাধুনিক ঘরানার কবি ও চিন্তক হিসাবে উভয় বঙ্গে সমাদৃত এজাজ ইউসুফী। সমাজ জীবনের সাহিত্য ও সংস্কৃতির নতুন বিন্যাস সৃজনে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। কবিতায় এনেছেন নতুন নিরীক্ষা। তার গদ্যসমূহও আঙিক আর প্রকাশভঙ্গীতে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে।
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে সাত খুনের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছিলেন নৌযান শ্রমিকরা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে এ ধর্মঘট স্থগিত করেছেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান পরিবহনের চাঁদপুর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ আ মাহফুজ উল আলম মোল্লা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নৌযান শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে যে ধর্মঘট করেন তা স্থগিত করেছেন। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউছুফ। পরে তিনি আশ্বাস দেন নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ মামলাটি ভালোভাবে তদন্তসহ নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করা হবে। আর এ আশ্বাসেই নৌযান শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট স্থগিত করেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি এবং কিছু আশ্বাস পেয়েছি। তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে সেদিকে নজর রাখব। এখন থেকে জাহাজ চলাচল এবং লোডিং-আনলোডিং চলবে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন বিকেলে জাহাজে সাত শ্রমিককে হত্যা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, আহত জুয়েলের উন্নত চিকিৎসা, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং নৌপথের শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে চাঁদপুরে সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নৌ ফেডারেশনের কয়েকশ নেতাকর্মী।
মেঘনা নদীতে জাহাজে মধ্যে ৭ জনকে খুনের ঘটনার বিচার ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চলা নৌযান শ্রমিক ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুরোধে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকেরা।
সাত খুনের ঘটনার পরপরই প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সাত খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচার, নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলে নৌযান শ্রমিকরা।
কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে ধানের তোষ মিশিয়ে ভেজাল গো-খাদ্য প্রস্তুতকারক কামরুল ইসলাম নামক এক ব্যবসায়ীর কারখানা থেকে মালামাল জব্দ করেছে নান্দাইল থানা পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১০৮ বস্তা ভেজাল গো খাদ্যসহ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেনান্দাইল উপজেলার বাঁশহাটি ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ঘরে বিভিন্ন সমিল থেকে কাঠের গুঁড়া এনে রাখতেন স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম। পরে ওই ঘরে কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে ধানের তোষ ও গমের ভূষি মিশিয়ে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরি করতেন। সম্প্রতি বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার বিকাল ওই ঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় কামরুল।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় কামরুলের ঘরের তালা ভাঙা হলে ঘরের ভেতরের এক পাশে স্তুপ করে রাখা কাঠের গুঁড়া, ধানের তুষ ও কিছু গমের ভূষি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নকল বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে এসব মালামাল পুলিশ জব্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানা, ভেজাল গো-খাদ্যের কারণে গো-খামারিরা প্রতারিত হওয়াসহ গবাদিপশু নানা রোগে আক্রান্ত হতো। অন্যদিকে, নামি-দামি খাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশু চিকিৎসক মো. উজ্জল হোসাইন জানান, কাঠের গুঁড়া মিশ্রিত গো-খাদ্যে পশুর বিষক্রিয়া হতে পারে।
নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ জানান, জব্দকৃত মালামাল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আলো ফুটতেই পাহাড়ের সবুজ মেখে মেরিন ড্রাইভের পিচঢালা রাস্তা ধরে দৌঁড়াচ্ছেন তরুণরা। এর এক পাশে দিগন্ত ছোঁয়া নীল জলের বিশাল সমুদ্রের হাওয়া মেখে যাচ্ছে শরীরে। এমন দৃশ্যই ছিলো কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
ভোরে সমুদ্রের কূল ঘেঁষে যাওয়া কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দরিয়া নগর থেকে শুরু হয়ে ইনানী পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দূরত্বের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৩ শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রতিযোগী।
ভিন্ন আঙ্গিকের এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিলো অংশগ্রহণকারীদের। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর কর্মীরা জানান, সমুদ্র দেখে ২১ কিলোমিটার দৌড়ে তারা খুবই আনন্দিত।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা অংশগ্রহণকারীরা জানালেন এক পাশে পাহাড় অন্যপাশে সমুদ্র এমন মনোরম দৃশ্য দেখে দৌড়ানোর অনুভূতি। প্রকৃতির সাথে নান্দনিক পরিবেশে এমন আয়োজন অসাধারণ।
কক্সবাজারে কাজের সুবাদে বাস করা আমেরিকান এক দম্পতি অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। তারা কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষাও আয়ত্তে আনেন অনেকটা। তাদের মধ্যে স্ত্রী বলেন, "আঁরা জামাই বউয়ে এন সুন্দর রাস্তাত হারা হারা দুইজ্জি। চাইর নম্বর পাইয়ি ফোয়াতি। আততু বেশি গম লাইজ্ঞে এডে দুরিয়ারে।" (আমরা স্বামী স্ত্রী এমন সুন্দর রাস্তায় তাড়াতাড়ি দোড়াইছি। চার নম্বর হয়েছি একসাথে। আমার ভালো লেগেছে এখানে দৌড়ে)।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম ফিনিস লাইন অতিক্রম করে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। এসময় তিনি বলেন, শুধু বিজয় দিবস মেরাথনই নয়,আগামীতে এমন মনোরম পরিবেশে একটি সাইক্লিং রেস ও আরও একটি মেরাথন আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে আয়োজকরা। ২৫০০ বছর পুরোনো এই মেরাথনের সাথে সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততা থেকেই আজকের এই আয়োজন।
জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩৯৮ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৪৮ জন রেসটি সম্পন্ন করেছে। সকলের সমন্বয়ে আয়োজন সফল করতে পেরে খুশি আমরা।
মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি সম্মান ও পরিবেশের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতেই এমন আয়োজন। যার উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ম্যারাথনের সবচেয়ে উপভোগ্য ছিলো সাগরের গর্জনের সাথে হিমেল হাওয়া মেখে শরীর মিলিয়ে দেয়া প্রকৃতির মাঝে, এমনটাই অভিমত অংশগ্রহণকারীদের।