খুলনাঞ্চলে কৃষি ব্যাংকের লোকসান কমেছে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি ব্যাংক/ছবি: সংগৃহীত

কৃষি ব্যাংক/ছবি: সংগৃহীত

খুলনাঞ্চলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা কমেছে। গেল অর্থ বছরে খুলনা জেলায় পাঁচটি লোকসানি শাখা থাকলেও চলতি অর্থবছরে তার দু’টি লাভের মুখ দেখেছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষি ব্যাংকের ২০টি শাখা ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মুনাফা করেছে। লোকসান কাটিয়ে উঠতে ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮টি কার্যকর হয়।

গত অর্থ বছরে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট বাজার, দাকোপ উপজেলার নলিয়ান, ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর, ফুলতলা উপজেলা সদর ও মহানগরীর লবনচরা শাখায় লোকসান হয়। এসব শাখায় গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা লোকসান হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ডুমুরিয়ার শাহপুর ও বটিয়াঘাটার বিরাট বাজার শাখা লাভের মুখ দেখেছে। এ দু’টি শাখায় লাভের পরিমাণ ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ব্যাংকের খুলনা জেলার ২০টি শাখার চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৫৬ কোটি ৯৯ লাখ এক হাজার টাকা আয় হয়। এসময়ে ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা। লাভ হয় পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

এ অঞ্চলের শাখাগুলো হচ্ছে, কেডিএ নিউ মার্কেট, তেরখাদা, শাহাপুর, রূপসাঘাট, পাইকগাছা, লবনচরা, কেডিএ বাস টার্মিনাল, রূপসার কাজদিয়া, কয়রা, জায়গীরমহল, জামিরা বাজার, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, দৌলতপুর, চাঁদখালী, বিরাট, বটিয়াঘাটা, বারাকপুর ও নলিয়ান।

ব্যাংকের খুলনার মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, নিয়মিত তদারকি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনাগত মান উন্নয়নের কারণে ব্যাংকের দু’টি শাখা লোকসান কাটিয়ে লাভের দিকে গেছে। এছাড়া জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক ৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। চিংড়ির খামার, হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, কৃষি, সাদা মাছ, শিল্প ও ক্ষুদ্র-কুঁটির শিল্পখাতে ঋণ দেয়।

খুলনার আঞ্চলিক জেনারেল ম্যানেজার মিলন নন্দী জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অঞ্চলের ৫ জেলায় ২ হাজার নতুন গ্রাহক সঞ্চয়ী হিসাব খুলেছে। ২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায় হয়। তিনি বলে অর্থমন্ত্রী ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে এ অঞ্চলের ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

অন্যান্য সূত্র বলছে, গ্রামাঞ্চলে মহাজন ও এনজিও’র চড়া সুদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি ব্যাংক সরকারের ৩৮টি সেবামূলক কাজ করছে।