নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

নেপালে নির্মাণাধীন আপার কারনালী হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট হতে ভারতের এনটিপিসি'র বাণিজ্যিক শাখা বিদ্যুৎ ভাইপার নিগম লি. (এনভিভিএন) এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ৷

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবগুলো প্রস্তাবই বিদ্যুৎ বিভাগের। এরমধ্যে ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে নির্মাণাধীন আপার কারনালী হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট হতে ভারতের এনভিভিএন এর মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির লক্ষ্যে একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এতে মোট আনুমানিক ব্যয় হবে ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২৫ বছর, এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপাল বাস্তবায়িতব্য আপার কারনালী হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্ট হতে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে সবোর্চ্চ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এনভিভিএন এর মাধ্যমে আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে মোতাবেক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশন (সমঝোতা) ভিত্তিতে চূড়ান্তকৃত ক্রয় মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৬ টাকা ৪২ পয়সা প্রতি কিলোওয়াট হিসাবে ২৫ বছর মেয়াদে উক্ত কোম্পানিকে অনুমানিক ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ ( রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং ১ এর আওতায় পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ২টি লটে অফিস ও আবাসিক ভবনের পূর্ত কাজ বাড়িয় ব্যয় বেড়েছে ১০১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সংশোধিত প্রস্তাবের দুইটি লটের মধ্যে প্রথম লটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় লটে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত।

এছাড়া বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরও দুইটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের লট নং ইউআরআইডিএস (ই) সি ডব্লিউ -০১-০২ এর আওতায় পূর্তকাজের ক্রয়ের প্রস্তাব এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ ১ম সংশোধন) শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ১.৫ এমসিসি- জি-৬৯ এর লট -২ এবং লট-৫ এর আওতায় ২৯.৯৯০ কিলোমিটার কন্ডাক্টর ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।