দুর্নীতির ‘মাস্টার মাইন্ড’

অনিয়মের টাকায় ৬ দেশে সম্পদের পাহাড় ‘সাধু খাঁ’র, অভিযোগেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা

  • অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনিয়মের টাকায় ৬ দেশে সম্পদের পাহাড় ‘সাধু খাঁ’র/ছবি: সংগৃহীত

অনিয়মের টাকায় ৬ দেশে সম্পদের পাহাড় ‘সাধু খাঁ’র/ছবি: সংগৃহীত

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তুষার মোহন সাধু খাঁ। সাবেক সরকারের বিশ্বস্ততা সূত্রে বড় দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তবে এই চেয়ারের দায়িত্ব নিয়েই জনস্বাস্থ্য অধিদফতরে অনিয়মের রাজত্ব গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ইন্ডিয়া এবং আমেরিকায় বসবাস করা তার ছোট ভাই ও কানাডায় বসবাসরত তার মেয়ের কাছে পাঠানোর কথা বলা হয়। একই সঙ্গে এই অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ ইন্ডিয়া, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই ও শ্রীলংকায় নামে বেনামে গাড়ি, বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে এসব অভিযোগে সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও একই চেয়ারে বহাল রয়েছেন তুষার মোহন সাধু খাঁ। ফলে খোদ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) কর্মকর্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে তাকে নিয়ে আলোচনা।

নাম পরিচয় গোপনে অধিদফতরের একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে জানান, এই কর্মকর্তা সিনিয়রিটির পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই পদোন্নতি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজ দপ্তরেই গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির নিজস্ব বলয়। প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিয়মিত কমিশন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের পরিচালক থাকাকালেও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও অডিটে খরচের গরমিলের তথ্যও পেয়েছিল সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

এদিকে দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সারা দেশে গভীর নলকূপ স্থাপন করে থাকে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোয় অর্থায়ন করে সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা। অভিযোগে জানা গেছে, প্রান্তিক আর অসচ্ছল মানুষের জন্য এই প্রকল্প হলেও কোন কিছু যাচাই না করেই সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নলকূপ বিতরণ করেছেন তিনি। তারই নির্দেশে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং মন্ত্রী-এমপিদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এসব নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। প্রান্তিক অনেক এলাকায় এখনো নিরাপদ পানি প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না নাগরিকরা।

সূত্র মারফত জানা গেছে, বিগত সরকার শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে খোলস পাল্টাতে শুরু করেছেন সাধু খাঁ। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ। একই সঙ্গে নানা মহলে তদবিরও করে যাচ্ছেন তিনি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁর অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগে বিষয় উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পিডি তুষার মোহন সাধু খাঁর অনিয়ম দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার ও প্রকল্প এলাকায় নিম্নমানের কাজ করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পিডি তুষার মোহন সাধু খাঁ অনিয়ম দুর্নীতির রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। তার ঘুষের শত শত কোটি টাকা রাজধানীর লালমাটিয়ায় তার ছোটবোনের বাসায় রাখা হতো। পরে ঠিকাদার দিলীপ বাবুর মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা ইন্ডিয়া এবং আমেরিকায় বসবাস করা তার ছোট ভাই ও কানাডায় বসবাসরত তার মেয়ের কাছে পাঠানো হয়। ঘুষের টাকার বেশিরভাগ তার ছোট বোন ও ভাইয়ের কাছে পাঠানো হয়। ছোট ভগ্নীপতি মারা যাওয়ার আগে তিনিই সব হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষের টাকা পৌঁছে দিতেন। ইন্ডিয়া, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই ও শ্রীলঙ্কায় তার নামে বেনামে গাড়ি, বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রকল্পের প্রাক্কলনিক আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে আগে ঘুষের টাকা লেনদেন করলেও এখন সরাসরি নিজেই বিশ্বস্ত ঠিকাদার ও বিভিন্ন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন করেন।

মন্ত্রণালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে নানা লেনদেনসহ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে পিডি তুষার মোহন সাধু খাঁর। নিয়ম অনুযায়ী নিজ মন্ত্রণালয় হয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে প্রকল্প রিভাইসড হওয়ার কথা থাকলেও বিধি লঙ্ঘন করে এবং নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আগের আইটেমের সঙ্গে নতুন আইটেম যোগ করে প্রকল্প রিভাইসড করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ডিপিপির উপজেলা ওয়াইজ বণ্টননামা ১৫০ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা আছে। শুধুমাত্র একটি জেলায় ১৫ হাজার টিউবওয়েল স্থাপন কথা রয়েছে ডিপিপিতে। বেশিরভাগ উপজেলায় ৪ হাজার, ৫ হাজার, ৬ হাজার ও ৭ হাজার বরাদ্দ রয়েছে। যে উপজেলায় পূর্বের প্রকল্পে বেশি কাজ হয়েছে এবং অন্য প্রজেক্ট রানিং আছে সেই উপজেলায় কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে উপজেলায় পূর্বের প্রকল্পে কম কাজ হয়েছে এবং অন্য প্রজেক্ট রানিং কোন কাজ নেই সেই উপজেলায় বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনসংখ্যার আনুপাতিক হার হিসাবে ডিপিপির রিভাইজড ছাড়াই কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দেশের সব ইউনিয়নে সমভাবে বণ্টন করা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেও টিউবওয়েল বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে অতীব জরুরী প্রয়োজন সেখানে টিউবওয়েল বরাদ্দ করা হয়নি। প্রতি ৬০ জনে ১টি টিউবওয়েল স্থাপন হওয়ার কথা যদি ডিপিপি অনুযায়ী হতো। ডিপিপি বহির্ভূত হওয়ায় এবং লুটপাটের উদ্দেশ্যে প্রকল্প নেওয়ায় কোন কোন জায়গায় ২০ জনে ১টি করে টিউবওয়েল পেয়েছে। আবার কোন কোন জায়গায় একটিও নেই। ফলে অবহেলিত এলাকা অবহেলিতই রয়ে গেছে। রাষ্ট্রের টাকা অপচয় ও নয়-ছয় করে প্রজেক্ট করেছে সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পিডি তুষার মোহন সাধু খাঁ।

প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে টিউবওয়েল স্থাপন করার কথা বলে অত্যন্ত সুকৌশলে আপনার কাছ কাছ থেকে প্রকল্প অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এ হিসাবে সারা দেশে প্রায় ৬ লাখ স্থাপন করা হলেও জনগণ সার্বিকভাবে উপকৃত হবে না। ৬ লাখ টেন্ডার আহবান শেষ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সমভাবে টেন্ডার আহবান করেছে। ডিপিপিতে যেভাবে প্যাকেজ উল্লেখ ছিল তা ভায়োলোট করা হয়েছে এবং মনগড়াভাবে করা হয়েছে। প্যাকেজ ছোট এবং বড় করা হয়েছে পিডি নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে। ডিপিপির সঙ্গে সংখ্যা ও প্যাকেজের কোন মিল নেই। দায়সারাভাবে ফিল্ডের খরচের সঠিক তথ্য ও হিসাব ছাড়াই শেষ করতে যাচ্ছে। ১০% লেস কাজের সিএসও মাসের পর মাস পড়ে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। আর্থিকভাবে লাভের উদ্দেশ্যে এ কাজগুলো করা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ফিল্ডে সময়মত কাজ বাস্তবায়ন করা যায়নি। ফিল্ডে প্রিডি ও ডিপিডিসহ কর্মকর্তাদের কোন মনিটরিং নেই। প্ল্যানিং অফিসে বসে কাজ করেন তারা। ডিপিপির সাথে বাস্তব কাজের কোন মিল নেই। পানির কোয়ালিটি নিয়ে পিডিসহ কর্মকর্তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। টিউবওয়েলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন থাকার পরও ঠিকাদারদের বিল দেয়া হয়েছে।

যেখানে ওয়াটার কোয়ালিটি খারাপ সেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ভেসেল টাইপ পেশার ফিল্টার ধরা আছে ডিপিপিতে। কিন্তু পিডি তার পূর্ব পরিচিত ও নিজস্ব কোম্পানির নিম্নমানের ১৮হাজার টাকার আরও ফিল্টার ওই সমস্ত খারাপ ওয়াটার কোয়ালিটির জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। যেটা জনগণের কোন কাজে আসবে না। ৬ মাস পর এই ফিল্টারগুলোর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। ডিপিপিতে পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই ৪৯১টি উপজেলায় ছিল। বেশিরভাগ জেলায় কোন অগ্রগতি নেই। শুধু টেন্ডার আহবান করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনগণ উপকৃত হচ্ছে না।

প্রকল্পটির কাজে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে খোদ সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এর মধ্য নির্মাণ ত্রুটি, ঠিকাদারদের জবাবদিহি নিশ্চিত না করা, অডিট আপত্তি উঠলেও নিষ্পত্তি না করা, প্রকল্প পরিচালনার অন্যতম নিয়ামক হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্তসংখ্যক পিআইসি ও পিএসসি সভা না করা, মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ না দেওয়ার মতো দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েছে।

ফলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পিডি তুষার মোহন সাধু খাঁর অনিয়ম দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার ও প্রকল্প এলাকায় নিম্নমানের কাজ করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবেদন জানান তিনি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রথমদিন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে তার কার্যালয়ে গিয়েও তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। পরে একদিন পরে আবার গেলে তিনি মিটিংয়ের কথা বলে সময় নেই বলে জানান। তবে ওয়েটিং রুমে বসতে বলেন এবং মিটিংয়ে যাওয়ার সময় দেখা করবেন বলেন জানান। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তার দেখা মিললে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তুষার মোহন সাধু খাঁ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। আপনি এটার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী (সংস্থাপন) মোহাম্মদ ফয়েজুল ইসলাম সুমনের সাথে দেখা করেন। তার কাছে আমি লিখিত দিয়ে রেখেছি তার কাছ থেকে জানতে পারবেন।

আবারও অপেক্ষার পর নির্বাহী প্রকৌশলী (সংস্থাপন) মোহাম্মদ ফয়েজুল ইসলাম সুমনের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্যারের বক্তব্য তো আমি দিতে পারি না। আপনি একটা কাজ করেন আগামীকাল সকালে আসেন। অথবা ৫-৬টার দিকে আসেন। এই সময় স্যার ফ্রি থাকেন। আমি চেষ্টা করে আপনার কথা বলে কমেন্ট নেয়ার সুযোগ করে দিতে পারি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ এর অনিয়মের অভিযোগ এবং তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এই বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা এ.এফ.হাসান আরিফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এই প্রতিবেদকের। তার মোবাইলফোনে দুইবার ফোনকল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।