পুষ্পার্ঘ্য তৈরিতে ব্যস্ত ফুল বিক্রেতারা
-
-
|
পুষ্পার্ঘ্য তৈরি করছেন এক ফুল বিক্রেতা
মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে স্মৃতিসৌধের বিপরীত পাশে গড়ে ওঠা ফুলের দোকানগুলোতে পুষ্পার্ঘ্য তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল বিক্রেতারা।
টানা দুদিন ধরে চলছে ফুল বিক্রেতাদের কর্মযজ্ঞ। বছরে ৭টি দিবসকে ঘিরে রমরমা হয় ফুলের ব্যবসা। এরমধ্যে মহান বিজয় দিবস অন্যতম। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই ফুল ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে সাভারের নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের বিপরীত পাশে গড়ে ওঠা ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ফুল বিক্রেতা আগে থেকে তৈরি করা ফ্রেমে ফুল সাজানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কথা বলার সময় নেই তাদের, সামনে গেলেই তারা জিজ্ঞেস করছেন কয়টি লাগবে?
ফুল বিক্রেতা সোহেল, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, মামা কথা বলার সময় নাই, তাড়াতাড়ি বলেন কী জানতে চান।
আগে থেকেই অর্ডার করা প্রায় ২৫টি পুষ্পার্ঘ্য তৈরি করেছেন সোহেল। আরো অনেক তৈরি করতে হবে তাকে। প্রতিটি পুষ্পার্ঘ্য ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় অর্ডার নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
অপর ফুল বিক্রেতা হাবিব বলেন, আমরা কিছু ফুলের ডালা বানিয়ে রেখেছি, যেগুলো ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি করছি। আর বাকি সব অর্ডার পেয়েছি। তবে বিজয় দিবসের চেয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে তাদের ফুল বিক্রি বেশি হয় বলে জানান তিনি।
এসব শ্রদ্ধাঞ্জলি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অর্ডার অনুযায়ী প্রস্তুত করছেন তারা। রাত ১২টা পর্যন্ত আরো কিছু অর্ডার পাবেন বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
ফুল ক্রেতা শাহিন বলেন, একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি কিনতে এসেছিলাম। বরাবরের তুলনায় এবার দাম বেশি। অর্ডার দিয়ে বানাতে গেলেই ২ হাজার টাকার বেশি চাচ্ছে। তাই রেডিমেড একটি কিনে নিলাম। যাই হোক শ্রদ্ধা নিবেদন তো করতে হবে। যুদ্ধ করতে পারিনি তাই যারা জীবন দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলেই সার্থক মনে হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৬টা ৩৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
