চিশতী পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের পাঁচ মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী

মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার এবং রূপান্তরের অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বাবুল চিশতীসহ তার ছেলে-মেয়ে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে-১ এ বাদী হয়ে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ ফয়সাল।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে প্রত্যেকটি মামলাতে আসামি রয়েছেন মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী এবং পৃথক দুটি মামলায় আসামি রয়েছে বাবুল চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী।

দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১২ নম্বর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে রাশেদুল হক চিশতী দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার মোট সম্পদের থেকে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ১২ হাজার সাতশত ৭২ টাকা অর্থমূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসেব গোপন করেছেন। ‌ দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে রাশেদুল হক চিশতী সর্বমোট ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৭২ টাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক।

১১ নম্বর মামলায় মোছাঃ রোজি চিশতীর বিরুদ্ধে সম্পদের বিবরণীতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে রোজি চিশতী মোট ২৯ কোটি ৩০ লাখ ২২ হাজার ১৩২ টাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক। দুদকের হিসাব বিবরণীতে রোজি চিশতী ৮৫ লাখ ৬২ হাজার চারশত ৪২ টাকা মূল্যমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসেব গোপন করেছেন।

১৩ নম্বর মামলার এক নম্বর আসামি রিমি চিশতীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে রিমি চিশতী স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা সমমূল্যের সম্পদের মালিক। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রিমি চিশতী সম্পদ বিবরণীতে মোট ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৬০ টাকা মূল্যমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন।

১০ নম্বর মামলার এজাহার থেকে জানা যায় বাবুল চিশতী ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ২১৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক। কিন্তু দুদকের কাছে দাখিল করা সম্পদের হিসেব বিবরণীতে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ২১৭ টাকা সমমূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন।

দুদকের দায়ের করা ১৪ নম্বর মামলায় আসামি করা হয়েছে ফারহানা রহমান ও বাবুল চিশতীকে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ফারহানা রহমান তার হিসাব বিবরণীতে এক লাখ চৌত্রিশ হাজার সাতশত পঁচিশ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে তার মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। একই মামলায় ফারহানা রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জন, এফডিয়ার তৈরির মাধ্যমে ওই সকল সম্পদ ভোগ দখলে সহযোগিতা করায় বাবুল চিশতীকে অভিযুক্ত করে আসামি করা হয়েছে।