'বাংলাদেশে জাপানি সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশে জাপানের সাহায্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তিনটি সিটি করপোরেশনের জন্য জাপান কর্তৃক প্রদত্ত বর্জ্যবাহী গাড়ী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, '২০১৪ সালে ঢাকা শহরে দুই সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন ৫ হাজার ১০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হত, সেখানে ২০১৯ সালে এসে প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে ২০১৪ সালে প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হত যা ২০১৯ সালে ২ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। বর্জ্যবাহী নতুন গাড়ীগুলো পাওয়ায় ঢাকাতে ৬৫-৮০ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৭৫-৮৫ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।'

চাবি হস্তান্তর করছে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নোয়াকি ইতো, ছবি: বার্তা২৪.কম

চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান সরকার ৭৭ কোটি টাকা মঞ্জুরি সহায়তার অধীনে তিন সিটি করপোরেশনকে ১৫০টি বর্জ্যবাহী গাড়ি দিয়েছে। এই গাড়িগুলোর জন্য তিন সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নোয়াকি ইতো স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চাবিগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ৫৬টি করে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ৩৮টি গাড়ি দেওয়া হয়েছে।

জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষায় জাপান ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। গত ১০ বছরে তারা বর্জ্য পরিবহনের জন্য ১১২টি গাড়ি দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জাইকার বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশোহিরা কাওয়াতিসহ জাপান দূতাবাস ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।