১৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্তির চিঠি দুদকের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুদক লোগো

দুদক লোগো

বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি কেনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তাই তাদের কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুদক সচিব মুহাম্মাদ দিলোয়ার বখত স্বাক্ষরিত এই চিঠি পাঠানোর সত্যতা বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে কতিপয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র, ভারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে।

যে ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে দুদক থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে সেগুলো হলো- রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রুপা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মিসেস রুবিনা খান, মেসার্স অনিক ট্রেডার্স এবং এর স্বত্বাধিকারী জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন এন্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্স এবং এর স্বত্বাধিকারী জনাব মনজুর আহমেদ, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ এবং এর স্বত্বাধিকারী জনাব মুন্সী ফারুক হোসাইন, এমএইচ ফার্মা এবং স্বত্বাধিকারী জনাব মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগস এবং এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলভিরা ফার্মেসী এবং এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্স এবং এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিন্টু, মেসার্স মার্কেনটাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং এর স্বত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তার সরকার, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি এবং এর স্বত্বাধিকারী জাহির উদ্দিন সরকার, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশন এবং এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এ এস এল এবং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ ও ব্লেয়ার এভিয়েশন এবং এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মোকশেদুল ইসলাম।

দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কোন কোন ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না নিয়েও বিল পরিশোধের ঘটনা ঘটেছে। কবে কোন তারিখে অসাধু ঠিকাদাররা গণ সিন্ডিকেট গঠন করে এ ধরনের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বর্ণিত সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ক্ষতিসাধনসহ আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়।