'গ্রামের মানুষদেরকে পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চাই'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ছবি: বার্তা২৪.কম

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামের মানুষের পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চাই। তার জন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ-বাণিজ্যকরণ করতে হবে। তাহলেই দারিদ্র এবং ক্ষুধা জনিত সমস্যা অনেকটা সমাধান করা সম্ভব।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপের সি আই সি সি মিলনায়তনে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স) প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হেলভেটাস বাংলাদেশ, কন্সার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ও ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার হিলফি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

বিজ্ঞাপন

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দারিদ্র্যের কারণে মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না। ক্ষুধা বাংলাদেশের জন্য সবসময়ই একটি উৎকণ্ঠার এবং সব সময় এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভাতের চেয়ে আলু এবং সবজি আমাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এবং ক্ষুধা নিবারণেও কাজ করে।

এনজিওগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কৃষিকে এগিয়ে নিতে এনজিওগুলোর এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা দরকার। আমরা সব সময় তাদেরকে স্বাগত জানাই। আপনারা দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করুন। দারিদ্র্য দূর করার জন্য আপনারা দুর্গম এবং প্রতিকূল এলাকাগুলোতেও কাজ করেছেন। আপনারা এমন কিছু এলাকা বাছাই করুন যাদের সত্যি সহায়তা দরকার।

মন্ত্রী বলেন, এ সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে যেকোনো মূল্যে গ্রামগুলোকে শহরের সুবিধা দিতে। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের একমাত্র শ্লোগান আমার গ্রামকে আমি শহর করব। ৯৫ শতাংশ গ্রামে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। এছাড়া আমরা গ্রামে ছোট ছোট শিল্প কারখানা করতে চাই। আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এরই মধ্যে আমরা দারিদ্র ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

বক্তব্য শেষে মন্ত্রী গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রিনা পারভিন, জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ড. মো. শাহ নেওয়াজ, জাতীয় পুষ্টি বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ড. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা, কন্সার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ.কে.এম মুসা ও ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার হেলথি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ফিলিপ ড্রেসরুসি প্রমুখ।

প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বের ১১৭টি দেশের মধ্যে ক্ষুধাসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ৮৮তম। গতবারের চেয়ে উন্নতি করলেও বৈশ্বিক অবস্থানে দু’ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গতবার স্কোর ছিল ২৬ দশমিক ১। এবার কমে হয়েছে ২৫ দশমিক ৮। আর ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬।