‘নারী গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার

জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নারী গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা রোধ, যৌন নির্যাতন বন্ধ এবং গৃহশ্রমিক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন পক্ষ ২০১৯ উপলক্ষে ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নারীকর্মীদের প্রতি সহিংসতা’ রোধে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শিরিন আক্তার বলেন, গৃহশ্রমিকদের আমরা সব সময় অবহেলা করে থাকি, কিন্তু তাদের ছাড়া আমরা চলতে পারিনা। সবাইকে মানুষ মনে করতে হবে, নারী বলে যা ইচ্ছা তাই করব এটা ঠিক না। এমন দিন আসবে গৃহকর্মী পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন কারণেই গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করছেন না অথচ গার্মেন্টসে কাজ করতে চাচ্ছেন। কোনোভাবেই গৃহকর্মী নির্যাতন নয়, যৌন নির্যাতন নয়, কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও সহিংসতা রোধে কাজ করতে হবে। আমি চাই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা রোধে গৃহশ্রমিক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করা হোক।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত নারী গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত। যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই নারী। ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭৭ জন গৃহকর্মী তাদের বিনিয়োগকারীদের সহিংসতার শিকার হয়ে মারা গেছে। যার ৪৭ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার এবং কাজ থেকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। আমরা এর সুনির্দিষ্ট আইন এবং নীতিমালা গঠন করে এই নির্যাতন, সহিংসতা থেকে তাদের মুক্তি চাই।

সভায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সংবাদপত্র জরিপে ২০১১ থেকে ২০১৯ জুন পর্যন্ত গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এই পরিসংখ্যানে নির্যাতনের শিকার ৫২১ জন, আহতের সংখ্যা ২৫৫জন, মৃতের সংখ্যা ২২৬ জন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের রোকেয়া কবির, প্রকল্প সমন্বয়কারী গিতা রানি অধিকারী, তপন কুমার দাস, আবুল হোসেন, নাজমাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নারী গৃহকর্মীরা।