রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার সম্ভাবনা নেই: টিআইবি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে  ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিয়ানমার এতো বেশি শক্তিশালী ও অ্যারোগ্যান্ট যে তাদের এই অনড় অবস্থানের পেছনে বৃহত্তর কারণ হচ্ছে তাদের সমর্থক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-চীন এবং জাপান তাদের এই অনড় অবস্থানের যোগান দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত 'বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের সরকারের যতটুকু সম্ভব উদ্যোগ নিয়েছে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমাদের বিপরীত দিকটা অর্থাৎ মিয়ানমার এতো বেশি শক্তিশালী ও অ্যারোগ্যান্ট যে তাদের এই অনড় অবস্থানের পেছনে বৃহত্তর কারণ হচ্ছে তাদের সমর্থক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। সে কারণে আমাদের কথাগুলো জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থায় আলোচিত হচ্ছে, উত্থাপিত হচ্ছে, কিন্তু সেটা অনেকটা করুণার চোখে দেখা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীলতা দেখায়, যে আমরা আছি তো আপনাদের পাশে। দুই একটা রিলিফের ব্যাগ দিয়ে ছবি তুলে, টিভিতে দেখিয়ে পরেরদিন আবার মিয়ানমারে যায়।

ড. জামান বলেন, বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-চীন-জাপান দেখাচ্ছে যে তারা বাংলাদেশের পাশে আছে কিন্তু মিয়ানমারের অনড় অবস্থানের পেছনে তাদের শক্তিগুলো সবচেয়ে বেশি উপাদান যোগাচ্ছে। এটা আমাদের সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা না কূটনৈতিক সীমাবদ্ধতা।

মিয়ানমারে টিআইবি’র কোনো শাখা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারে টিআইবি’র কোনো শাখা নেই। এক্ষেত্রে থাকলেও যে খুব একটা সুবিধা হতো, মিয়ানমারের যে চরিত্র সেটা আশা করাও খুব কঠিন। আমাদের ইন্টারন্যাশনাল অফিস আছে, সচিবালয় থেকেও এ ধরনের কোনো প্রয়াসের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি সরাসরিভাবে আর্থিক বোঝা, এই বোঝাটি আরো বাড়বে সেটার প্রাক্কলন করা জরুরি। পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর্থ সামাজিক ঝুকি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, সমস্যাটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন আমরা এটা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি। সেটার পেছনে পর্যাপ্ত যুক্তি ছিল। এখনও এখানে রাখার পেছনে পর্যাপ্ত যুক্তি রয়েছে। কিন্তু এই দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করব সেটা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন টিআইবি’র মো. শাহনূর রহমান, নাজমুল হুদা মিনা ও গোলাম মহিউদ্দীন।