পরিপূর্ণ রেলসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল বিভাগের ওপর যাত্রীদের যেসব অসন্তোষ রয়েছে। তার মধ্যে হল আমরা পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারছি না। পরিপূর্ণ সেবা না দিতে পারার অন্যতম কারণ হলো, শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে, টিকিট কালোবাজারি এখনো পুরোপুরিভাবে দূর হয়নি, মাঝে মাঝে ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব কারণে পরিপূর্ণ সেবা দিতে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার( ৫ ডিসেম্বর) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ে সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন
রেলওয়ে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী

সেবা সপ্তাহ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী রেলের সেবা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে পারি সেজন্য রেলসেবা সপ্তাহ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া সেবা সপ্তাহে যাত্রীসাধারণ যাতে সচেতন হয়। তারা যেন যত্রতত্র ময়লা না ফেলে। বাথরুমগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে সে বিষয়ে যাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উন্নত বিশ্বের রেল সেবার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গোটা পৃথিবী যখন আজ হাতের মুঠোয়। বিভিন্ন দেশের রেল সেবার মানের সঙ্গে যখন আমাদের দেশের রেল সেবার মানের তুলনা করি, তখন আমরা বুঝতে পারি আমরা কতটা দুর্বল অবস্থায় আছি। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে রেলকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ব্যালেন্স যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

রেল বিভাগের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ রুটেই সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। শুধুমাত্র চিটাগাং রোডের অধিকাংশই ডাবল লাইন করা হয়ে গেছে। ডাবল লাইনের আওতায় আসলে শিডিউল বিপর্যয়সহ সব ধরণের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানে আমরা বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছি। তাছাড়া উত্তরবঙ্গে যেখানে বাইশটি ট্রেন যাওয়ার কথা সিঙ্গেল লাইনে সেখানে ৪২টি ট্রেন যাচ্ছে। ফলে ট্রাফিক সিগনালে পড়তে হচ্ছে।

সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যমুনা নদীর ওপর আলাদা বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে রেল সেতু করা হবে। আগামী ১৭ মার্চ  জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী শুরু হবে। তাই মার্চ মাসের যেকোনো সময় এই কাজের উদ্বোধন করা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন লোকমোটিভের চালান কবে আসবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরিয়া থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাস নাগাদ দশটি লোকোমোটিভ আসবে। এছাড়া ইউএসএ থেকে ৪০টি লোকোমোটিভ আসবে। লোকোমোটিভের অর্ডার দিলে সেটা ডেলিভারি দিতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগে সেই জন্য এ প্রকল্পগুলো আসতে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া মাসখানেকের মধ্যে ভারত থেকে ২০টি লোকোমোটিভ চলে আসবে।

এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।