‘পুশ ইন’ সম্পর্কে কিছু জানি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

ভারতীয় সীমান্তে ‘পুশ ইন’ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি কিছু জানি না, পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। তবে সরকারিভাবে আমার কাছে এ নিয়ে কোনো খবর নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুই দিনব্যাপী ৩৩তম সিএসিসিআই সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এনআরসি প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, আমি ঠিক বুঝি না এনআরসি’র আতঙ্কটা। কত বছর লেগেছে, প্রায় ২৭, ৩৪ বছর লেগেছে এই লিস্টটা করতে, আরও কত বছর… প্রসেস অনেক কিছু আছে। ভারতীয় সরকার আমাদের বারবার বলেছে, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, কোনোভাবে বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

বিজ্ঞাপন

সীমান্তে ‘পুশ ইন’ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখছি পুশ হচ্ছে, কিংবা ভয়ে নাকি লোকজন আসছে। আমি ঠিক জানি না, এইটা নিয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা করতে হবে কিনা। তবে সব দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে ছোটখাটো… লেগেই থাকে, দেন-দরবার থাকে। তবে বড় নিউজটা হচ্ছে আমাদের বড় বড় যতগুলো সমস্যা আমরা মোটামুটি আলোচনার মধ্যে শেষ করেছি, শুধু শেষ করেছি তাই না, অত্যন্ত পরিপক্কভাবে শেষ করেছি। আমাদের উভয় দেশের মধ্যে যে ট্রাস্ট, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স, সেটা খুব কম দেশের মধ্যে থাকে। ভারতীয় সরকারকে আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করতে চাই।

এখন তো ‘পুশ ইন’ হচ্ছে, এ ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, পুশ ইন আমরা শুনছি মিডিয়া থেকে, আমরা সরকারিভাবে কিছু জানি না। ইদানীং পত্র-পত্রিকায় অনেক কিছু বের হয়, কিছু সত্য কিছু মিথ্যা। আমাদের এ ব্যাপারে পুরোপুরি জানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, বিশেষ করে ফেসবুকে অনেক কিছু বের হয়। সরকারিভাবে না জানলে আমার বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে বলে মনে হয় না।

আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী যখন পশ্চিমবঙ্গে গেলেন তাকে যথাযথভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়নি— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, না, এইটা আমার মনে হয় না। অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তাকে গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছেন, এর চেয়ে বড় সম্মানের আর কী হতে পারে?

মিয়ানমারের আরও কিছু কর্মকর্তা আবারও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসতে চান, আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারে আগেই— এমন প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় উন্মুক্ত, যদি ওনারা আসতে চান আসতে পারেন। বিষয়টা হলো—মিয়ানমার এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে, মিয়ানমারকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সমস্যা দূর করতে তাদের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত এই কারণে যে, তাদের ট্রাস্ট বিল্ড করতে হবে। মিয়ানমার প্রায়ই আমাদের বলে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি করেছে কিন্তু রোহিঙ্গারা তো বিশ্বাস করে না। তারা যদি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের বিশ্বাস বাড়াতে পারে উই উইল ওয়েলকাম।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিষয়ে মিয়ানমার অপপ্রচার করছে—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার বলে যে, বাংলাদেশ না কি রেডি না রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে। বাংলাদেশ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, ওরা যখনই চাইবে তখনই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করবে। তারা বলে, বাংলাদেশের জন্য নাকি প্রত্যাবাসন দেরি হচ্ছে—এটা অপপ্রচার না তো কী?