রাজশাহীতে লবণ মজুত করায় ৫ ব্যবসায়ীর এক বছরের জেল

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মজুতকৃত লবণ জব্দ করা হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মজুতকৃত লবণ জব্দ করা হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীতে অবৈধভাবে লবণ মজুত করার দায়ে ১১ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচ ব্যবসায়ীকে এক বছরের কারাদণ্ড, দুই ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের জেল ও চারজনকে জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরী, জেলার তানোর, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাগমারা উপজেলায় প্রশাসনের অভিযানকালে তাদেরকে আটক ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, অবৈধভাবে লবণ মজুত ও মূল্য বৃদ্ধির দায়ে নগরীর সাহেববাজারের মানিক ও আজমল হোসেন নামে দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। গুজব ছড়িয়ে লবণের মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা ঠেকাতে নগরীতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আফরোজ জানান, লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ঠেকাতে বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে মজুত এবং বেশি দামে লবণ বিক্রির দায়ে মঞ্জুর রহমান ও জহুরুল ইসলামকে আটক করা হয়। ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের দু’জনকে যথাক্রমে ৫০ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে এক বছরের জেলও দেয়া হয়।

চারঘাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ নাজমুল হক জানান, লবণের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে অভিযানে সরদহ বাজারের ব্যবসায়ী রায়হানুল হক রান্টুকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করছিলেন। এছাড়া চারঘাট বাজারে শ্রীকৃষ্ণ ভাণ্ডারের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানু জানান, লবণ সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিনি বাজার মনিটরিংয়ে নামেন। এ সময় গোল্লাপাড়া বাজারে ‘চিমান্তর’ দোকানিকে ১০০০ টাকা এবং মুন্ডুমালা বাজারে রাকিব স্টোর মালিককে ২০০০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া জেলার বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে লবণ মজুত ও বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে আটক করে প্রশাসন। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।