সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে: স্পিকার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সংক্রান্ত গোলটেবিল বৈঠকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সংক্রান্ত গোলটেবিল বৈঠকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কেননা সরকার জনগণের পক্ষে সরকারি অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয় করে থাকে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক ও সচেতন হলে প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, সরকারি সব কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

রোববার ( ১৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সংক্রান্ত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার বলেন, সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে। জাতীয় সংসদের পিএ কমিটি সরকারের কার্যক্রম তদারকি করে এবং সরকারি ব্যয় সম্পর্কিত সিএজি রিপোর্ট পরীক্ষা করে, যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়।

পিএ কমিটি, সিএজি, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব। সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা ক্রমেই লোপ পায়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং বাজেট ঘাটতি দেখা যায়। প্রতিটি সেক্টরে অর্থের অপচয় রোধ করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব—যা বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদসহ সংসদ সদস্য, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।