বিসিসির তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সিটি করপোরেশন, ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশন, ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, অবৈধভাবে স্টল বরাদ্দ আর অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই আদেশে তাদের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে না, সেই মর্মে পত্র প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ বরাবর জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বরখাস্তকৃতরা হলেন, বিসিসির বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট মো. আজিজুর রহমান।

বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে তাদের নিজ দফতর থেকে সরিয়ে প্রশাসনিক শাখায় বিশেষ কর্মে নিযুক্ত করা হয়। এবং বরখাস্তের আদেশ সোমবার অফিস চলাকালীন সময়ে পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের কাছে। তবে বরখাস্তকালীন সময়ে তিনজনই বিসিসির বিধিমালার ৪৪(১) ধারা অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

বিসিসির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিসিসির বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে নিজ পদে থাকাকালীন সময়ে অর্থ দফতরে প্রভাব খাটিয়ে উচ্চতর স্কেল গ্রহণ, বেতনের সঙ্গে তারতম্য বিহীন অর্থ আয় ও নামে-বেনামে হিসেব খুলে করপোরেশনের অর্থের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিসহ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জ্ঞাত বহির্ভূত আয়ের অভিযোগ রয়েছে।

বাজার সুপারিনটেনডেন্ট মুহাম্মদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে নিজ খেয়াল খুশি মতো নামে বেনামে সিটির বিভিন্ন স্টল বরাদ্দ ও ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।

ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট পদে থাকাকালীন সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে বিভিন্ন নামে ও বেনামে সিটি করপোরেশনের একাধিক স্টল বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিজ পদে (ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট) থাকাকালীন সহায়ক কর্মচারীকে দুর্নীতির আশ্রয়, অবৈধ কাজ না করা হলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়াসহ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।