প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

তিস্তা-রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা, হতে পারে ৮ এমওইউ

  • সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ৮টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শুরু হবে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে বাসসকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৫ অক্টোবর বৈঠকের পর মূলত যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে এ পর্যন্ত ৭ থেকে ৮টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে, এ সংখ্যা ১০টিতেও উন্নীত হতে পারে।

হাইকমিশনার বলেন, তিস্তা ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সব বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোন ধারণা পোষণ করতে পারছি না।

ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেন (এনআরসি) বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এনআরসি প্রশ্নে বাংলাদেশকে উদ্বিগ্ন না হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটি তাদের ইস্যু, তাদেরকেই এটি হ্যান্ডেল করতে দিন। এনআরসি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক ফোরাম-২০১৯-এ যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ৪ দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন।

ওই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি তুলে ধরবেন। এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিগত কয়েক বছরে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার সরকারের ব্যাপক সাফল্যের কথাও উল্লেখ করবেন।

তিনি ভারতের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাবেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুক্রবার যৌথভাবে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।

বিকেলে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া সফররত সিঙ্গাপুরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হেং সুয়ে কেট শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি রোববার ভারতের কংগ্রেস পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগ দেবেন।

এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম ভিত্তিক ফিচার ফিল্ম তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল রোববার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র মুজিব বর্ষ ২০২০-২১ শেষ হওয়ার আগে মুক্তি পাবে।

ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী রোববার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন।
সূত্র: বাসস