জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের হাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা জেলা পরিষদ কার্যালয়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা জেলা পরিষদ কার্যালয়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ভুয়া বিল ও ভাউচারে স্বাক্ষর না করা ও সন্দেহজনক প্রকল্পের চেক আটকে দেওয়ায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর হামলা ও তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়িচালক মোঃ শহীদুল্লাহ লাঠি ও কোদাল নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের ওপর হামলা চালান। পরে ঠিকাদার ও অন্য কর্মচারীরা এসে মাহবুবকে রক্ষা করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি ৪০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও নানা অনিয়মের কারণে যাচাই-বাছাইয়ের পর তা আটকে দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলোর অধিকাংশই বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। এছাড়া দুঃস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরবরাহ করা এবারের ভ্যানগুলো খুবই নিম্নমানের। এসব ভ্যান গ্রহণ না করতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানাই। এসব কারণে একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘গাড়িচালক মো. শহিদুল্লাহ কিছুদিন আগে গাড়ির ক্যামেরা কেনার কথা বলে ২৪ হাজার ৯৭০ টাকার একটি বিল জমা দেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি ঐ ক্যামেরার দাম পাঁচ হাজার টাকা। বিলটি আটকে দিয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। একই ব্যক্তি রূপসার আলাইপুর উত্তর শেখপড়া হযরত আবু বক্কার (রা.) মসজিদ উন্নয়নের নামে এক লাখ টাকার একটি প্রকল্প দাখিল করেন। এই প্রকল্প নিয়ে সন্দেহ হলে সেটি আটকে দেওয়া হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিল ও প্রকল্পের ফাইল ছেড়ে দিতে গাড়িচালক প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি অস্বীকার করায় মো. শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে দুই জন লাঠি ও কোদাল নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর হামলা চালান। এ সময় অফিসের কর্মচারী ও কয়েকজন ঠিকাদার তাদের ধরে ফেলেন। পরে তাদের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গাড়িচালক শহিদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা তার ব্যবহৃত গাড়িতে ১২ হাজার টাকার মালামাল সংযোজন করলেও বিল পরিশোধ করেননি। এছাড়া তার গাড়ির জন্য চারটি টায়ার দাবি করেছেন। কিন্তু অবৈধ সুবিধা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’