রাজবাড়ীতে পরকীয়ার অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যকে দড়ি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতা রায়হানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে সদর উপজেলা যুবদল।
দুই ইউপি সদস্যের নির্যাতনের ঘটনায় যুবদল নেতা রায়হান খানসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হেলেনা বেগম।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা যুবদলের প্যাডে সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাট ও সদস্য সচিব মামুনুল ইসলাম রনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে রায়হান খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পরকীয়ার অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যকে দড়ি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, বসন্তপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জিয়া সাইবার ফোর্স কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রায়হান খান সহ আরও কয়েকজন বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জল সরকার ও ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হেলেনা বেগমকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মহিলা ইউপি সদস্য বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতালের কর্মচারী ও রোগীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে কর্মীরা। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
বিস্তারিত আসছে...
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার পশ্চিমে নোঙর করা এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ সোফিয়ার আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। নৌবাহিনী জানায়, আগুন নেভাতে কাজ করছে নৌবাহিনীর ৫টি অত্যাধুনিক জাহাজসহ কোস্ট গার্ডের ২টি জাহাজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুনের ভয়াবহতা অনেকটাই ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) নৌবাহিনী থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া এ্যাঙ্করেজের দক্ষিণে অবস্থানরত এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ সোফিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে নৌবাহিনীর ৫টি অত্যাধুনিক জাহাজসহ কোস্ট গার্ডের ২টি জাহাজ ও চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ। গতকাল মধ্য রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বহিঃনোঙ্গরে টহলে থাকা নৌবাহিনী জাহাজ শাপলা। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর আরও ৪টি জাহাজ ও কোস্ট গার্ডের ২টি জাহাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্ত হয়।
নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুনের ভয়াবহতা অনেকটাই ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এছাড়া জাহাজটিতে থাকা ২১ জন ক্রুকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের মেডিকেল দল। বর্তমানে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী কুতুবদিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কাশেম বলেন, কুতুবদিয়া পশ্চিমে নোঙর করা জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। অনেক দূর থেকে স্পষ্ট আগুন জ্বলতে দেখা গেছে নোঙর করা জাহাজে। আমি কর্মরত সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি লাইভও করি। যেখানে লাইভের মাধ্যমে দেখিয়েছি ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলার দৃশ্য।
পূজোর আনন্দে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মণ্ডপগুলো। মণ্ডপ থেকে ভেসে আসা ধুপের গন্ধ জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপে-মণ্ডপে ভক্ত দর্শনার্থীদের ঢল। এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে গিয়ে দেবী দর্শনে সময় কাটছে তাদের। পূজা মণ্ডপে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করছেন জেলার আনসার সদস্যরা। তবে এ দায়িত্ব পেতে সকল আনসার সদস্যের কাছ থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের পূজা মণ্ডপগুলোতে গত চারদিন থেকে দায়িত্ব পালন করছেন আনসার সদস্যরা। দায়িত্ব পালন শেষে ৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা। স্থানীয় প্রতিনিধি নেপালের মাধ্যমে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পিসি নুরবাহার।
শুধু ধর্মীয় উৎসবে নয় নির্বাচন সহ যে কোন কর্মসূচিতে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করাতে দিতে হয় ঘুষ। ঘুষ না দিলে মেলেনা দায়িত্ব। তবে নিজের যাতায়াত খরচের জন্য এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।
জেলার ৫টি উপজেলার ৪৭২টি পূজা মণ্ডপের নিমিত্তে ৩১৬৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যাদের প্রায় অনেককেই এ দায়িত্ব পেতে দিতে হয়েছে ঘুষ।
ঘুষ আদায়ের জন্য উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের দল নেতা-নেত্রীদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রতিনিধি। এসব প্রতিনিধির মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ জমা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দল নেতা-নেত্রীদের হাতে। পরে উপজেলা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ বাটোয়ারা হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আনসার সদস্য বাপ্পি ইসলাম বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে ৩ দিন কাজের জন্য ৮ হাজার করে টাকা পাব। সেজন্য আমরা ১ হাজার করে টাকা দিয়েছি। নির্বাচন সহ সব কাজে দায়িত্ব পালন করতে হলে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়না।
আরেক আনসার সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, আমরা নেপাল এর মারফত আনসারের কাজ নিয়েছি৷ সে বলেছে ৩ দিন কাজ করলে ৮ হাজার টাকা করে পাব। সেজন্য আমরা নেপালকে ২৬ জন মিলে ১ হাজার টাকা করে দেই। কিন্তু পরে আমরা ঠাকুরগাঁও অফিস থেকে জানতে পারি আমাদেরকে ৮ দিন কাজ করতে হবে এবং দিন প্রতি ৪৭৫ টাকা করে ভাতা দেয়া হবে। পরে জানতে চাইলে নেপাল বলে এই টাকা নিয়ে উনি নুরবাহারকে দিয়েছে। আমাদেরকে প্রতারিত করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে পিসি নুরবাহার বলেন, আমি নেপালকে খরচের জন্য টাকা নিতে বলছি। নেপাল কত করে নিয়েছে তা জানিনা। আমি ৩শ-৪শত করে টাকা পেয়েছি। ওদের নিয়োগের জন্য অফিস যাওয়া খরচ, চা নাস্তা খরচ বাবদ এই সব টাকা খরচ হয়েছে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, দায়িত্ব পালনের জন্য কোন আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।