পুরো ঢাকা যেন টাইম বোমায় পরিণত না হয়: র‍্যাব ডিজি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

র‍্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪

র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউন থাকার কারণে একটা সময় পুরান ঢাকা ছিল টাইম বোমায়। চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সমস্ত কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণ করে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। তবে কেমিক্যাল স্থানান্তরে যেন আবার পুরো ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত না করা হয়।’

শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত কারা কনভেনশন হলে 'পুরাতন ঢাকার আবাসিক এলাকা হতে কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গোডাউন অপসারণের' লক্ষ্যে র‍্যাব-১০ কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘অভিযানের ফলে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল সরিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় নিয়ে রাখছেন বলে আমার কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। অভিযানের ভয়ে কেউ নিজ বাসায় আবার কেউ তার আত্মীয়ের বাসায় রেখেছেন। আগে পুরান ঢাকা ছিল টাইম বোম্ব। এখন সারা ঢাকাকে যাতে টাইম বোমায় পরিণত করা না হয়। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার মানুষ এতোদিন টাইম বোমার ওপরে বসবাস করেছেন। চুড়িহাট্টার ঘটনায় যারা মারা গেছেন তারাও টাইম বোমার পাশে বসবাস করতেন। আমরা তৃতীয় আর একটি ঘটনা চাই না। আমরা আর একটি মানুষের মৃত্যুও দেখতে চাই না।’

এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণ করার জন্য দেড়শ কোটি টাকার যে প্রজেক্টের কথা বলা হচ্ছে তা সম্পন্ন হতে সময় লাগবে দুই বছর। কিন্তু আমাদের হাতে এত সময় নেই। দুই মাসের মধ্যে এর সমাধান হোক। এর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রথাগত চিন্তার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। এর জন্য সাহস থাকতে হবে।’

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একাধিক ইকোনোমিক জোন গড়ে উঠেছে। অনেক ব্যবসায়ী তাদের নিজ উদ্যোগে তা গড়ে তুলেছেন। এমন ইকোনোমিক জোন গড়তে আপনারাও পারেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বলছে অভিযান বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। আমরা কি দেশ থেকে আইন বন্ধ করে দিব? মানুষ হত্যা হবে আর আর আমরা কি আসামিকে গ্রেফতার করব না? অভিযান চলবে, তবে আমাদের কোনো ব্যবসায়ী ভাই অযথা হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখব।’

মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যালের বিষয়ে র‍্যাব ডিজি বলেন, ‘আপনারা টাকা দিয়ে পণ্য কিনে আনেন, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল লেখালেখি দিতে হবে। উৎপাদনের মেয়াদ, কোম্পানির নাম, সব কিছুই। আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল রাখলে সেটা মেনে নেয়া যাবে না। টাকা দিয়ে কেন আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস কিনবেন?’

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো.কাইয়ুমুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী হাসনাত ও শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।