বিইআরসির সদস্য হলেন শাহিদ সারওয়ার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনে (বিইআরসি) সদস্য (বিদ্যুৎ) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিদ সারওয়ার। তাকে ৩ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) তার নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিশনের ৪ সদস্যের মধ্যে ওই একটি পদেই শুন্য ছিল। গত ২৬ নভেম্বর কমিশনের ৪ সদস্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সমালোচনার মুখে মাত্র ১ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন মো. গিয়াস উদ্দিন জোয়াদ্দার। এরপর থেকেই শুন্য ছিল পদটি।

বিজ্ঞাপন

জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানের ধাক্কায় টালমাটাল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনও। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে ১৪ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলনের মুখে ২০ আগস্ট পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন। অন্য সদস্যরা পদত্যাগ না করায় ২০ আগস্ট থেকে কমিশনের মূল ফটক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারিরা। ২৫ আগস্ট জালাল আহমেদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কয়েকদিন অফিসে অনুপস্থিত থেকে ২৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন ও আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান।

২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এ পর‌্যন্ত ১৩টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তার ১২টি প্রবিধানমালাই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইনে সকল ধরণের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার থাকলেও প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি। ৩৪(৩) ধারায় বলা হয়েছে বিইআরসি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করবে। তবে শর্ত থাকে যে, প্রবিধানমালা প্রণয়ন না করা পর‌্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে। পেট্রোলিয়ামের বিধিমালা অনুমোদন না হওয়ায় ধুয়া তুলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারিত হয়ে আসছে।

২০২৩ সালে হঠাৎ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কম/বেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। তারপর থেকে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় কার‌্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ আইনটি বাতিল করে দেওয়ায় গুরুত্ব বেড়েছে বিইআরসির। তবে এখন পর‌্যন্ত প্রবিধানমালাগুলো অনুমোদন না হওয়ায় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে উদ্যোগ নিলেও ৫ মাস অতিবাহিত হলেও খুব একটা অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।