এমপি লিটন হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাংসদ কাদের খান মারা গেছেন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংসদ কাদের খান মারা গেছেন/ছবি: সংগৃহীত

সাংসদ কাদের খান মারা গেছেন/ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খান (৭৩) মারা গেছেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ঢাকার বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিউ) ভর্তি ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাদের খানের ছেলে ডা. সামিন খান। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ব্রেন স্ট্রোক ছাড়াও নানা রোগে ভুগছিলেন বাবা। টানা তিন মাস ধরে হাসপাতালের আইসিইউর ১২ নাম্বার ও ৪ নাম্বার বেডে তার চিকিৎসা চলছিলো।

এর আগে, গত বছরের জুলাই মাসে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্রেন স্ট্রোক করেন তিনি। পরে কয়েক দফায় কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাদের খানকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল কাদের খান গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানপাড়া) গ্রামের মৃত নয়ান খানের ছেলে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় তার বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কাদের খানকে বগুড়া শহরের তার স্ত্রীর মালিকানাধীন গরিব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের পর থেকেই কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে ছিলেন।

পরে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ হত্যার মূল পরিকল্পকারী সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খান, তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. শামসুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, ভাতিজা গৃহকর্মী মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, আনোয়ারুল ইসলাম রানা এবং চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার পর ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি গাইবান্ধা কারাগার থেকে কাদের খানকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।