চট্টগ্রামে কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শাহ আলম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত শাহ আলম বাঁশখালী উপজেলার প্রেমবাজার পন্ডিতকাটা এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান, শাহ আলম মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজবাড়িতে ফিরছিলেন। কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ঢাকার আশুলিয়ায় শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। উৎসবে শিশুরা নানা ধরণের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে, যেখানে ক্রেতাদের অধিকাংশই শিশু।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকায় দূর্গাপুর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
কালের পরিক্রমায় পিঠাতেও এসেছে পরিবর্তন। তাই হারিয়ে যাওয়া পিঠার সাথে স্থান পেয়েছে বাহারি রঙ ও স্বাদের কেক এমনকি মোমোও। পিঠার একেক স্টল থেকে ভেসে আসছিল একেক পিঠার সুঘ্রাণ। পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা যায়, কিছু পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু খুব পরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে নাম ও মূল্য। এসব পিঠার নামও বেশ সুন্দর। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। এ সময় পুরো স্কুল মাঠ রূপ নেয় অন্যরকম মিলনমেলায়।
পিঠা উৎসবে ১৫ টি পৃথক স্টলে ছিল শতাধিক বাহারি রকম পিঠা। যেমন ভাপা, দুধপুলি, পুলি, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, খেজুর কাটা পিঠাসহ শতাধিক পিঠাপুলি। এছাড়া চকলেট কিংবা ভ্যানিলা কেক এর সাথে জায়গা পেয়েছে মোমো, আচার, ফুচকা-চটপটি সহ নানা পদ।
বাসায় অভিভাবকরা পরম যত্নে তৈরী করে দিয়েছেন পিঠাগুলো। যারা একটু বড় তারা নিজেরাও বানিয়েছে পিঠা। সেগুলোই জায়গা পেয়েছে উৎসবে। পিঠা বিক্রিতে শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মত।
মেলায় একটি স্টলে শিশুদের জন্য ছিল হাতে মেহেদী রাঙানোর সুযোগ। হাতে মেহেদীর নানা সাজের সাথে শিশু-কিশোরদের মুখে ফুটে উঠছিল একরাশ আনন্দ।
জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের শীতের এই পিঠার এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে খুশি অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়।
ইউটিউব দেখে পিঠা বানিয়েছে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান। হাসিবুল বলে, ছোট বেলা থেকে মা-চাচীদের দেখেছি নানা পিঠা বানাতে। তাই কিছুটা আইডিয়া ছিল, বাকিটা ইউটিউব দেখে বানিয়েছি। আমরা ৫ বন্ধু নিজেরাই সব করেছি। বাসার কারও সাহায্য নেইনি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে পিঠা উৎসবে স্থানীয়দেরও ব্যাপক ভিড় ছিল। তারাও আনন্দ সহকারে পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেছেন, পিঠা স্বাদ নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হালিম মন্ডল বলেন, এত এত পিঠা যে আছে তা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ এত পিঠা দেখে মনে হল ছোট বেলায় ফিরে গিয়েছি। খুব ভালো লেগেছে। এমন আয়োজন প্রতি বছর হওয়া প্রয়োজন।
দূর্গাপুর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. রুবেল মন্ডল বলেন, আমরা ছোট বেলায় যেসমস্ত পিঠা দেখেছি ও খেয়েছি এই প্রজন্ম তার অর্ধেকও হয়ত দেখার সুযোগ পায়নি। দিন দিন আধুনিকতার কারণে মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে তাই বছরে দুই একটা পিঠা ছাড়া আমাদেরও অন্যান্য পিঠা খাওয়া হয়না। বাচ্চাদেরও তো একই অবস্থা। বছরে একটা দিন যেন আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের সাথে বাচ্চাদের পরিচিত করতে পারি তাই এই আয়োজন।
রমজানের ঈদে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে কিন্তু আমাদের মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে পূর্বের মজুরি বা রেট দিয়ে বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের পক্ষে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টদায়ক, আমরা সারা সপ্তাহ কাজ করার পরে যেই মজুরি পাওনা হই, মালিকরা আংশিক একটা মজুরি পরিশোধ করে এবং বাকী টাকা মালিকদের কাছে থেকে যায়। আর ঐ আংশিক মজুরি দিয়ে আমাদের জীবন চলে না। ভাতের বিল, সকালের নাস্তা, সন্ধ্যার নাস্তা ও আনুষঙ্গিক খরচ করার পরে যে টাকা হাতে থাকে তা দিয়ে পরিবারকে চালাতে পারি না। এমতাবস্থায় বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধি ছাড়া পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে দুই বেলা দুই মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য ১৪/১৬ ঘন্টা কাজ করতে শ্রমিকরা বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু মালিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজে দ্বিগুণ মজুরি দিচ্ছে না। মালিকরা শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। প্রতি ঈদে এক মাসের মজুরি সমান ২টি উৎসব বোনাস প্রদানের কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা প্রদান করছে না। আবার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। বিশেষ করে লোকাল গার্মেন্টসের মালিকরা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ৮-৯ মাস বেআইনিভাবে রেখে দিয়ে রমজান মাসের শেষের দিকে পরিশোধ করার কথা বললেও প্রতি বছর একটা অংশ কারখানায় তালা মেরে চলে যাওয়াসহ মুজুরি না দিয়েও পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, কোন কোন ক্ষেত্রে বকেয়া থেকেও যায়।
এসময় তারা তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, ৮ ঘন্টা কাজ ও অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে; রমজানের ঈদে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করতে হবে; বেআইনি ও অমানবিকভাবে আটকে রেখে চাঁদ রাতে মজুরি পরিশোধ করার প্রথা বন্ধ করতে হবে; মাস শেষে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরি পরিশোধ করতে হবে; কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চাকুরির নিশ্চয়তা, নারী শ্রমিকদের মজুরির বৈষম্য দূর করতে হবে; এবং রাত্রকালীন অতিরিক্ত ডিউটির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন ও নাইট এলাউন্স প্রদান করতে হবে।
ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সুজনের সভাপতিত্বে এসময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মাহবুব আলম হানিফ, সদস্য হেলাল হোসেন, মনির হোসেন, দুলাল প্রমুখ।
গত ১৫ বছর ধরে দেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে লড়াই করে বিদায় করেছে। সেজন্য ২৪–এর অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোলা শহরে লিফলেট বিতরণকালে ইলিশ ফোয়ারা চত্বরে এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, খুনি হাসিনাসহ যাদের নির্দেশে এতো মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত জড়ানো হয়েছে, তাদের বিচারের শাস্তির স্পষ্ট কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি, তারা একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের ৭ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন।
সারজিস আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘোষণাপত্রে সবার আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ঘোষণাপত্রে প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলার শ্রমিক মেহনতি মানুষের আত্মত্যাগের কথা উঠে আসতে হবে। এটি যেন কয়েকজনের কথা না হয়।
তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনা গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে। তার পরিবার প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট বসিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেইগুলোকে শেষ করে সমতার একটি বাংলাদেশ দেখতে চায় বাংলার মানুষ।
ভোলার সাবেক পুলিশ সুপারের বিচার চেয়ে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ভোলায় পুলিশের গুলিতে জসিম উদ্দিন মারা গেছেন। তার মৃত্যুর দায় ভোলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহিদুজ্জামানকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জসিম ভাইসহ আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে আরো যারা রক্তাক্ত হয়েছে তাদের দায়ও এসপি, পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলদের নিতে হবে। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তাদের শাস্তি যেন শুধু বদলি না হয়।
সরকার পতনের আন্দোলনে এই দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, আমরা মনে করি ওই ঢাকা শহর থেকে দূরত্ব কখনোই প্রায়োরিটি নির্ধারণ করতে পারে না। প্রায়োরিটি নির্ধারণ করে কার কতটুকু ত্যাগ আছে, তার ওপর। সেই ত্যাগে বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি জেলা হচ্ছে ‘বীরের’ জেলা এই ভোলা।
এর আগে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা সদর রোড ও বাংলা স্কুল মোড়ে লিফলেট বিতরণ করেন সারজিস। এছাড়া তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভোলায় নিহত শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি জানান এবং কবর জিয়ারত করেন।
এসব কর্মসূচিতে সারজিস আলমের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিল।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জাহাঙ্গির আলম সবুজ নামের এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইকালে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে করেছে গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে তাদের আটকের পর যৌথবাহিনীর মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে বিপুল মিয়া (২০) ও নরসিংদীর সদর থানার গোদারিয়া গ্রামের মো. গাজীর ছেলে মো. শেখ সাদী (২৪)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে জাহাঙ্গির আলম সবুজ (৪৪) পেশায় মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এর ব্যবসায়ী। স্থানীয় কালীবাড়ি বাজারে তার দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা মারধর করে সাথে থাকা ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় সবুজের ডাক-চিৎকার শুনে গ্রামবাসী ছুটে এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর একটি দল দুই ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে জাহাঙ্গির আলম সবুজ বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত দুজনকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্যা মাযহারুল আনোয়ার বলেন, স্থানীয় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী সবুজের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সবুজ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।