সড়কের বেহাল দশা, সাতক্ষীরায় বছরে ৫৮ জনের মৃত্যু

  • মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে ৫৩টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫৮ জন এবং আহত হয়ে আছেন ৬৩ জন। ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে । এই দুর্ঘটনাগুলোর অন্যতম ট্রাক- মোটরসাইকেল সংঘর্ষ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক কে. এম. মাহবুব কবির।

বিজ্ঞাপন

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সাতক্ষীরার পরিসংখ্যান মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৭ টি। তাতে নিহত হয়েছেন ১৭ জন এবং আহত ১৩ জন। তবে এই তিন মাসের মধ্যে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। এই মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ টি তাতে নিহত হয়েছে ৭জন এবং আহত হয়েছে ৮ জন। তবে প্রথম তিন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যায় বেশি। এপ্রিল থেকে জুন মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬ টি। তাতে নিহত হয়েছে ১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬ জন। তবে এই সারা বছরের এই তিন মাসে আহতের সংখ্যা বেশি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ টি। তাতে নিহত হয়েছে ৮ জন এবং আহত হয়েছে ১১ জন। তবে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কোনো দুর্ঘটনায় ঘটেনি। তাছাড়া এই তিন মাসে সব থেকে কম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ১২ টি। তাতে নিহত হয়েছে ১৫ জন এবং আহত হয়েছে ১০ জন।

সড়কে ২১ টি স্থানে ইটের সোলিং

সড়কের বেহাল দশা:
সাতক্ষীরা-শ্যামনগর ভেটখালি মহাসড়কটির অবস্থা খুবই নাজেহাল। দীর্ঘ এক যুগেও সংস্কার হয়নি সড়কটিতে। সাতক্ষীরা বিশেষ আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন। তবে সেই সুন্দরবনের পথে গেলেই দেখা মিলবে সাতক্ষীরা সড়ক থেকে শ্যামনগর সড়কে যেতে ২১ টি স্থানে ইটের সোলিং। যা নিয়ে রীতিমতো হাস্যরসের সৃষ্টি হয় জেলা জুড়ে। এসব সড়কের পিচ উঠে বড় বড় গর্ত হয়েছে। পাথর ও খোয়া উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। বৃষ্টি ও জোয়ার এলে অনেক সড়ক পানিতে ডুবে থাকে। ঘটে দুর্ঘটনা।
মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪ ডট কম'কে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার এখন বেশি। এদের বেশিরভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সড়কের বিশৃঙ্খলা। উচ্চ গতিতে বাইক চালানো। যার ফলে তাদের কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেলেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এদিকে বর্তমানে দুই ও তিন চাকার গাড়ির দিনদিন দুর্ঘটনা বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সড়ককে গাড়িচালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কাকে পেছনে ফেলে আগে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় তাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় দিনশেষে। কোনো কোনো সড়কে বাঁক বেশি থাকে। যে কারণে সেই সব বাঁক পেরোতে গিয়ে গাড়িচালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যারা গাড়ি চালান, তাদের অনেকেরই উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকে না। যে কারণে তারা ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কেও ভালোভাবে জানেন না। সড়কে প্রায়ই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়ি যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।