সংকট কাটিয়ে উঠছে ডিএমপি: কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদ আলী বলেছেন, গত বছর ৫ আগস্টের পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ার ফলে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশবিহীন একটি সমাজ কেমন হতে পারে ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যায়। তবে গত পাঁচ মাসে ওইসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে সদস্যরা যে আচরণ করেছেন সেই আচরণ থেকে আমরা বের হতে চাই। সেই জন্য সময়ের প্রয়োজন। পুলিশের সব কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ৪০ হাজার পুলিশ সদস্যকে হঠাৎ করে পরিবর্তন সম্ভব না। তাই আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করছি। কোথায় কি পরিমাণ বলপ্রয়োগ করতে হবে, সেই বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রাখছি। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আপনারা পাবেন। ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকায় ২ থেকে আড়াই কোটি লোকের বসবাস। তাদের মধ্যে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও বেকারের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি নানাবিধ সামাজিক সমস্যা রয়েছে।
ইদানীং বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় ছোট খাটো দাবি আদায়ের রাস্তা বেছে নেয়। তারা মনে করে রাস্তা দখলে নিলেই তাদের দাবি আদায় হবে। যার ফলে ঢাকা শহরের ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও নাজুক অবস্থায় পড়ে যায়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কেটে যায়।
ঢাকায় উত্তর দক্ষিণের রাস্তা খুবই কম। একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সব কিছু থেমে যায়। আপনারা দাবি আদায়ের বিষয়ে খোলামাঠ, অডিটোরিয়াম বেছে নিন। দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুন। ঢাকাবাসীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও ভঙ্গুর করবেন না।
সম্প্রতি যে অপরাধটি মানুষের মনে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো ছিনতাই। এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ অল্পবয়সী মাদকাসক্ত ছেলেরা। ২০ থেকে ২২ বছরের ছেলেরা মাদকের টাকা জোগারে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। এই ছিনতাইয়ের অধিকাংশ হয় বাস ও প্রাইভেটকারে কথা বলার সময়ে। ছিনতাইকারী থেকে বাঁচতে মোবাইল ও ব্যাগ নিজের নিরাপত্তায় রাখুন। আপনি সতর্ক থাকলে আপনি আমাদের সহযোগিতা করা হবে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমি ব্যাপক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দিনে রাতে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।