দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হবে বঙ্গোপসাগর: অধ্যাপক তিতুমীর
দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু আর ‘হিমালয়’ নয়, ‘বঙ্গোপসাগর’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক তিতুমীর বলেন, সরকার এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সরকার দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব দিতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু আর হিমালয় না, কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বঙ্গোপসাগর। সেটা নেতৃত্ব দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি পরির্বতন হচ্ছে বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক তিতুমীর বলেন, ২০২৫ সালে সবচেয়ে বড় রকমের পরিবর্তন হবে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগরে পরিবর্তন হবে। এ অঞ্চলে কোন নেতা নেই যিনি বঙ্গোপসাগরে বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে নেতৃত্ব দান করতে পারবেন। আমাদের নতুন প্রতিবেশী আসতে পারে, নতুন রাষ্ট্রের উত্থান হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ভূ-রাজনৈতিকভাবে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে পাল্টাপাল্টি না বলে নূন্যতম ঐক্যের দিকে যেতে হবে। এর বাইরে যেহেতু রাজনীতিটা ট্রানজিশনাল তাই কোনোমতে ঐক্য হবে না।
অর্থনীতি মন্দা অবস্থায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতির উৎপাদন সম্পর্কে কোনো কথাবার্তা নেই। সেটা আসলে আইএমএফ কায়দায় চলবে না, অন্য কোনো কায়দাও চলবে না। দেশজ কায়দায় চলতে হলে দৃষ্টান্ত তৈরি করা যাবে। কিন্তু সামগ্রিক সংস্কার করা যাবে না। সরকারের একটাই লক্ষ্য থাকতে হবে, দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। চারটা থেকে পাঁচটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুমোদন দেওয়া ১২ ব্যাংকের স্পনসর কোথা থেকে পেয়েছে, তা বের করা এনবিআরের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় উপস্থিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক কমিটির সরোয়ার তুষার, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরাজী প্রমুখ।