তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারী ৫ জেলায় ১২০ কিলোমিটার জুড়ে ৪৮ ঘন্টা তিস্তা পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপ-মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘কেমন লালমনিরহাট দেখতে চান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে এ্যাডঃ জিন্নাত ফেরদৌস আরা রোজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। ৪৮ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচিতে তিস্তা পাড়ে আঞ্চলিক ভাওয়াইয়া,পালা গান ও অভিনয় পরিবেশন হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর বাজেট বৈষম্যের শিকার লালমনিরহাট ও উত্তরাঞ্চল। এ অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘদিনের দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা, মোগলহাট স্থলবন্দর চালুকরণ, অর্থনৈতিক জোন, কর্মমূখী শিক্ষায় অগ্রাধিকারের বিকল্প নেই।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আজকের সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিকব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে লালমনিরহাটকে এগিয়ে নিতে নানা প্রস্তাবনা, সমস্যা, সম্ভবনা নিয়ে মতামত দিয়েছেন। আগামীতের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করলে সেগুলোকে মুল্যায়ন করা হবে। লালমনিরহাটকে আলোকিত লালমনিরহাট গড়তে সেমিনারে প্রস্তাবিত বিষয়গলোকে সামনে রেখে কাজ করা হবে।
কেমন লালমনিরহাট দেখতে চান শীর্ষক এ সেমিনারে অংশ নেওয়া অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে দ্বায়িত্ব থাকা জনপ্রতিনিধিগণ জনগণ থেকে বিছিন্ন থাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে লালমনিরহাটের উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকা ২০০১ থেকে ২০০৬ এর উন্নয়ন ধারাবাহিকতা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়নি। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত থেকেছে লালমনিরহাট।
আলোকিত লালমনিরহাট বিনির্মানে ‘কেমন লালমনিরহাট দেখতে চান’ শীর্ষক সেমিনারে এ-সময় বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, এ্যাডঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডঃ ফিরোজ হায়দার লাভলু, সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু লালমনিরহাট সরকারি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দগণ।
এ সময় বিএনপি, জামায়াত, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক প্রতিনিধি,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের অন্তত ৩ হাজার সচেতন জনগণ অংশ নেয়।