জাহাজে ৭ খুন: ছয় শ্রমিকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা নামক একটি মালবাহী জাহাজের খুন হওয়া সাতজনের মধ্যে একজন বাদে বাকিদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, সকাল থেকে নিহতের স্বজনরা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভিড় করতে শুরু করেন। পরে লাশ সনাক্ত করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোহসীন উদ্দিন।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার জোয়াইর এলাকার মো. কিবরিয়া (মাস্টার), একই এলাকার শেখ সবুজ (৩৫) লস্কর, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাঙ্গারচর এলাকার আমিনুল মুন্সী (৪০) সুকানি, একই উপজেলার লোহাগড়া এলাকার মো. সালাউদ্দিন (৪০) ইঞ্জিন চালক, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার চরষশোমন্তপুর এলাকার মো. মাজেদুল (১৬) লস্কর, একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া এলাকার সজিবুল ইসলাম (২৬) লস্কর ও জাহাজের বাবুর্চি মুন্সীগঞ্জের রানা (২০)। রানা নামের একজনের পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের কাছে ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ টাকা প্রদান করা হয়। দ্রুত মামলা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান স্থানীয় প্রশাসন।
এই ঘটনায় চাঁদপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ১০ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে।
এর আগে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম সচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের নৌ দুর্ঘটনা রোধে করণীয় নির্ধারণ করে সুস্পষ্ট সুপারিশসহ আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।