‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যমত সবচেয়ে বেশি’

  • ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

-ড. আলী রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

-ড. আলী রিয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন সংবিধানের প্রস্তাবনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করতে পারে। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

যৌক্তিকতার সঙ্গে এর প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা হচ্ছে উল্লেখ করে কমিশন প্রধান আলী রিয়াজ বলেন, ‘আমি বলব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আমরা সবচেয়ে বড় ঐক্যমত্য পেয়েছি, আমি যদি শতভাগ বলতে পারি, তবেও তা অত্যুক্তি হবে না।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও সংস্কার কমিশন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় এবং এই পদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব করবে। প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করবে।

আলী রিয়াজ জানান, কমিশন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে যাতে তারা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে দায়বদ্ধ রাখার এবং পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা পেতে পারে। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশও করবে।

বিজ্ঞাপন

কমিশন সংবিধান সংশোধন বা পুনর্লিখন করছে কিনা জানতে চাইলে আলী রিয়াজ বলেন, ‘কমিশন নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করছে না। সুপারিশমালা প্রদান করছে যাতে সংবিধান গ্যারান্টি দেয়-যাতে যে কেউ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে না পারে এবং কোনও সম্ভাব্য স্বৈরাচার ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’

তিনি জানান, কমিশন এখন পর্যন্ত ২৫টি রাজনৈতিক দল ও তিনটি জোটসহ ২৮টি রাজনৈতিক সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে। সুশীল সমাজসহ ৪৩টি সংস্থার সাথে আলোচনা করেছে, তাদের থেকে কিছু লিখিত প্রস্তাবও এসেছে।

‘কমিশন সাতজন সংবিধান বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেছে এবং ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত চেয়েছে। কমিশন জুলাই বিদ্রোহের সময় গান, কবিতা এবং গ্রাফিতিতে অবদানকারী ১০ জন তরুণের মতামতও নিয়েছে। তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন না’-যোগ করেন ড. রিয়াজ।

আরও দুটি বৃহত্তর উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আলী রিয়াজ বলেন, ‘প্রথমত, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহ করেছি, এ পর্যন্ত ৫০, ৫৭৩টি মতামত পেয়েছি।’

‘কমিশন একটি পদ্ধতিগতভাবে সঠিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে কঠোর প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতায় একটি খানা জরিপ পরিচালনা করেছে। এই জরিপে ৪৫, ৯২৫টি মতামত সংগ্রহ করা গেছে, যা আমরা এখন বিশ্লেষণ করছি’-এই পদ্ধতিটি জনগণের অনুভূতির আরও প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বোঝাপড়া নিশ্চিত করেছে বলেও মনে করেন আলী রিয়াজ।

এই পর্যন্ত কমিশন ৪৬টি সভা পরিচালনা করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে মতামত সংগ্রহ করতে পেরেছি এবং ১২১টি দেশের সংবিধান বিশ্লেষণ করেছি। এখন আমরা কাঙ্খিত সুপারিশ করার কাজ করছি।’