‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম বেকার’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পেয়েও চাকরিচ্যুত ২৫০ জন প্রার্থী তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক মানবন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। এতে চাকরিচ্যুত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে গত ৪ এপ্রিল তাঁরা নিয়োগপত্র পান। ৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই ১৯ আগস্ট তাদের নিয়োগপত্র কোনো যৌক্তিক কারণ দর্শানো ছাড়াই একটি এসএমএসের মাধ্যমে বাতিল করা হয়। তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল, ‘এক দফা এক দাবি, চাকরি ফেরত চাই’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম বেকার’।

মানববন্ধনে বেশ কয়েকজন চাকরিচ্যুত তরুণ-তরুণী বক্তব্য দেন। তাঁরা নিয়োগপত্র বাতিলের ঘটনায় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে 'অন্যায়' এবং 'বৈষম্যমূলক’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে চাকরিতে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করেছি। কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ব্যতিরেকে একটি এসএমএসের মাধ্যমে নিয়োগপত্র বাতিল করায় আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

https://imaginary.barta24.com/resize?width=700&quality=100&type=webp&path=uploads/news/2024/Nov/16/1731767404100.jpg


একই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া অনেকেই চাকরিতে যোগদান করেছেন উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ‘ব্যাংকের একই বিজ্ঞপ্তিতে যারা নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই ৫ মে ও ৭ জুলাই চাকরিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাদের যোগদানের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ছিল তাদের নিয়োগপত্র বাতিল করা হয়। আমরা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছি।’

নিয়োগপত্র বাতিল হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়েছেন উল্লেখ করে নিয়োগবঞ্চিতরা আরও বলেন, ‘আমরা নিয়োগপত্র পাওয়ার পর শিওরিটি বন্ড, ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং অফিসিয়াল পোশাক প্রস্তুতির পেছনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছি। আমাদের অনেকেই পূর্ববর্তী চাকরি, টিউশন ও ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দিয়েছি। এখন চাকরি হারানোয় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের অনেকের চাকরির বয়সসীমাও শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন। এই অবস্থায় আমরা যাব কোথায়?’

তারা নিয়োগপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চাকরিতে যোগদানের সুযোগ দিতে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।