সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় শান্ত, গ্রেফতার তিন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতার তিন/ছবি: সংগৃহীত

গ্রেফতার তিন/ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগের মনেশ্বর লেনে সাইকেল চোরকে ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে সাহাদাৎ হোসেন শান্ত (১৭) নামে এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন দিবাগত রাত পৌনে একটায় হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-মো. শুকুর আলী (২২), মো.সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)।

বিজ্ঞাপন

হাজারীবাগ থানা সূত্রে বরাতে তালেবুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টায় সিয়াম নামের এক ছেলে হাজারীবাগের মনেশ্বর প্রথম গলির ৫নং বাসার নিচ তলায় বাইসাইকেল চুরির জন্য প্রবেশ করে। ঠিক সেই সময় বাসার মালিক আজাদ নিচ তলায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান একজন চোর বাসার ভিতরে প্রবেশ করে নিচতলায় থাকা বাইসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি তখনই চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে সাহাদাৎ হোসেন শান্ত ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে চোরকে ধরার জন্য আজাদের বাসার দিকে যায়। তাদেরকে দেখে আসাদ চুরি করা বাইসাইকেল ফেলে দৌড়ে নতুন রাস্তা চাঁনপুর মসজিদের গলির মো. শুকুর আলীর বাসায় প্রবেশ করে। শান্ত ও তার বন্ধুরা সিয়ামকে ধাওয়া করতে করতে ওই বাসায় প্রবেশ করে। রাত তখন অনুমান ১০টা ১৫ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথে শান্তকে ঝাঁপটে ধরে সিয়াম এবং ওই বাসায় আগে থেকে অবস্থান করা মো. শাকিল হোসেন। এরপর শুকুর আলী ধারালো ছুরি দিয়ে শান্তকে মারাত্মকভাবে আঘাত করলে সে বাসার মেঝেতে পড়ে যায়। তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও এলোপাথারী মারধর শুরু করে দুর্বৃত্তরা।

একপর্যায়ে শান্তর বন্ধুদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শান্তর মা সংবাদ পেয়ে ছেলেকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন সকাল ১০টায় মারা যায় শান্ত।

সংবাদ পেয়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা শান্তা ইসলাম (৫২) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রের বরাতে তিনি আরও জানান, এই হত্যা মামলার থানার একটি দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।