কোনো সংবাদপত্রের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রেস সচিব
জাতীয়
কোনো সংবাদপত্রের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কোনো মিডিয়া বা নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের তরফ থেকে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে একটা ফোন করা হয়নি কোনো সংবাদের বিষয়ে যে এই সংবাদটা নামান বা এই সংবাদটা ওঠান। একে টকশোতে নিতে পারবেন না বা একে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে পারবেন না।
গত ১৫ বছরে এরকম চর্চা ছিল। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে একটা কিছু বলা হয়নি। আমরা যদি মনে করেছি যে কোনো নিউজ ভুল হয়েছে, আমরা নম্রভাবে বলেছি যে এই নিউজটা ভুল, আপনারা একটু দেখেন। আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, অনেক সাংবাদিক জেনেশুনে গুজব ছড়িয়েছেন। আমরা সেগুলো ধরছিই না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে আমরা শতভাগ অঙ্গীকারাবদ্ধ। গত তিন মাসে কাউকে বলিনি যে এই রিপোর্ট যাবে না কিংবা এটা কেন গেল, বলিনি।
সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বরাদ্দকৃত তরল স্যালাইন পাচ্ছেন না পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীরা। এ স্যালাইন হাসপাতাল থেকে দেবার কথা থাকলেও তা মিলছে না বলে অভিযোগ রোগী ও তার স্বজনদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে। তাহলে কেনো রোগীরা স্যালাইন পাচ্ছেন না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগীরা। বেডের তুলনায় রোগী বেশি হওয়ায় অধিকাংশই হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দু’চারজনের কাছে মশারি থাকলেও অধিকাংশই মশারি ছাড়াই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। এ আশঙ্কা মুক্ত নন চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা। এতে রোগীদের যেমন সচেতনতার অভাব, তেমনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও তদারকির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ রোগী ও তার স্বজনদের।
ডেঙ্গু রোগীদের মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা দেবার ক্ষেত্রে উদাসীনতা অভিযোগ রয়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতাল থেকে রোগীদের একটি তরল স্যালাইনও দেয়া হয়নি। রোগী ও তার স্বজনরা জানান, স্যালাইন চাইলেও বলা হয় সাপ্লাই নেই। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদীর আওতাপাড়ার বাসিন্দা ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিমন বলেন, ‘৩ দিনের জ্বর নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ভর্তির পর থেকে হাসপাতাল থেকে সকালে দুইটা নাপা ট্যাবলেট দিয়েছে। তাছাড়া স্যালাইন ট্যালাইন কিচ্ছু দেয় নাই। চাইলে বলে- সাপ্লাই নাই। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় অন্তত স্যালাইনটা পাওয়ার কথা, সেটিও মিলছে না। গরীব মানুষ কীভাবে এখানে চিকিৎসা নেবে?’
পাবনা শহরের শাপলা প্লাস্টিক এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ৩ দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শ্যালকও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এদের দেখভালের পুরো দায়িত্ব তার ওপর। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে অন্তত স্যালাইনটা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেটাও মিলছে না। তাদের নাকি সাপ্লাই নাই। প্রতিবছরই এগুলোই দেখতে হয়। ডেঙ্গু আসলেই স্যালাইন সংকট। হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন বলে আছে, রোগীরা চাইলে নাই।’
তিনি বলেন, জিনিসের যে দাম তাতে মধ্যবিত্তরাও এখন চরম দারিদ্রতায় ভুগছেন। হাসপাতালে এদের কারোরই সেবা নেয়ার পরিবেশ নাই। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কোনো পরিবেশ নাই, তবুও এখানে আসেন খরচ কমাতে। একটা স্যালাইনও যদি না মেলে হাসপাতাল থেকে তাহলে কীভাবে খরচ বাঁচবে? উল্টো দালালদের দ্বারা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
রোগী ও তার স্বজনদের অভিযোগের সত্যতা জানতে কথা হয় হাসপাতালে দায়িত্বরত একাধিক ইন্টার্ন নার্সদের সাথে। তারা জানান, একেক সময় একেক ওয়ার্ডে সেবা দেন তারা। তবে গত কয়েকদিন ধরে মেডিসিন ওয়ার্ডে সেবা দিচ্ছেন। স্যালাইনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাও জানান- হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য তরল স্যালাইন সাপ্লাই নেই বলেই জানেন তারা।
এ ব্যাপারে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রোগীরা কেন পাচ্ছেন না সেটি খোঁজ নিচ্ছি।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, পাবনায় চলতি বছরে এযাবৎ ৩২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি মাসে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বছরের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে অক্টোবর মাসে। এ মাসে মোট ১৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পাবনায় এখনো কোনো মৃত্যু নেই। তবে গত অক্টোবরের শেষের দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার এক শিশু রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে।
এ উপজেলা থেকেই বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ‘এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন’ উপলক্ষে সিলেটে নৌ-সমাবেশ করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ব্রিজের দক্ষিণ অংশে সুরমা নদী তীরে এই নৌ-সমাবেশ করা হয়।
নৌ-সমাবেশে বক্তারা পৃথিবীর অস্তিত্বের স্বার্থেই জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
সমাবেশে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, উন্নত দেশসমূহ অতি মুনাফা লাভে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিগর্মনের মাধ্যমে জলবায়ু ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে থাকা অনুন্নত দেশগুলোকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলছে। আবার ঝুঁকিতে থাকা এসব অনুন্নত দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে অর্থ, প্রযুক্তি ও কাঁচামাল জোগান দিচ্ছে উন্নত তথা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে শীর্ষ দেশগুলা। আমরা যতদিন পর্যন্ত এ শৃঙ্খল থেকে বের হতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত আমাদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন জীবাশ্ম জ্বালানির, বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে আয়োজকদের পক্ষে সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা সিলেটের সদস্য সচিব আবদুল করিম কিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশের ক্ষতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানানো হবে।
ধরা সিলেটের আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এশিয়া ডে অব অ্যাকশন-এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর গ্যাস ও এলএনজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অংশীজনদের সচেতন করতে হবে।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামের টিভি টকশোকে আন্দোলন চলাকলে বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় তাকে বৈষম্য বিরোধী সংগঠন থেকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাবে হাসিব বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আংশিক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধায় গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক এই তথ্য জানান।
শোকজের জবাব যেভাবে দিয়েছেন হাসিব আল ইসলাম-
''ডিবিসি নিউজের 'প্রযত্নে বাংলাদেশ' টকশোতে সময় স্বল্পতার কারণে আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং বক্তব্যের খন্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার বক্তব্যে আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনও নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
আমি আমার বক্তব্যে বুঝাতে চেয়েছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেলে যখন তারা নিজেরাই আগুন দিয়ে তারপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং এই ক্ষোভ
ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন ত্বরান্বিত করেছে।
আর জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী দোসর পুলিশলীগ নির্বিচারে ছাত্র- জনতার উপর গুলি চালিয়ে গনহত্যা পরিচালনা করেছিলো তখন দেশের সর্বস্তরের জনতা নিজেদের জীবন বাঁচাতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো যেটা ছিলো মুক্তিকামী জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করছে এইজন্য এই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে এর দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে এটা জনগণ উপলব্ধি করেছিলো। এই দুটো বিষয় বুঝাতে গিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি, পুরো বিষয় তুলে ধরা সম্ভব হয় নাই। আমার সাথে যোগাযোগ ও মতামত না নিয়েই আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করছেন যা খুবই হতাশার।''
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। আর চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। এছাড়া দুইজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। মৃতদের মধ্যে একজন রয়েছেন খুলনা বিভাগের।
গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২০৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৪৫৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৯ হাজার ৪৫৬ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩৩৭ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।