বাজারে বাড়ছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ, চড়া দামে অসন্তোষ ক্রেতারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর কাঁচা বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতকালীন শাকসবজি। তবে শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ। 

মামুনুর রশীদ নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজার করতে আসলেই ভয় লাগে। সবকিছুরই অতিরিক্ত দাম। এক প্রকারের সবজি কিনলে আরেক প্রকারের সবজি কেনা যায় না। শীতকালীন শাকসবজির দাম যে এতো বেশি হবে সেটা কল্পনাতেও ছিলো না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার সিপাহীবাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে আলু কেজি প্রতি ৭০, বেগুন ১০০, লাল বেগুন ৮০ থেকে ১০০, চিচিঙ্গা ৬০, পেপে ৫০, করলা ৮০, সিম ১৬০, শসা ৮০, টমেটো ১৬০, মূলা ৮০, বরবটি ১০০, ভেন্টি ৮০, কচুর লতি ১০০, কাঁচামরিচ ২০০, পটল ৬০, গাজর ২০০, দুন্দুল ৮০ ও ধনে পাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক ১৫, ডাটা শাক ১৫, মুলা শাক ২০, পুঁইশাক ৪০ ও লাউশাক প্রতি মুঠো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।  

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও চাল কুমড়া ৮০, পাতাকপি ৬০, লাউ ৮০ ও ফুলকপি প্রতি পিস ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।


খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজার করতে হয়। শাকসবজি কিনতে গেলেই টাকা শেষ হয়ে যায় মাছ-মাংসের দিকে তো যাওয়ারই উপায় নেই। সরকার যদি বাজারের দিকে বিশেষভাবে নজরদারি না করে তাহলে আমাদের মতো পরিবারগুলোকে না খেয়ে মরতে হবে।

সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে আকরাম নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, আমাদের বেশি দামে সব কিনে আনতে হচ্ছে। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করলেতো আমাদের লস হবে।


এদিকে মাছের বাজারেও একই চিত্র। সব মাছের দামই আগের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙ্গাস মাছ ১৬০, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০, মাগুর ৫৫০, শিং ৪০০ থেকে ৪২০, কৈ ২৩০, ভেটকি ৬০০, আইর ৫০০, পাবদা ৩২০, ছোট বোয়াল ৩৫০, পোয়া ৩০০ থেকে ৪৫০, রুই ৩৪০ থেকে ৩৬০, সোল ৫০০ থেকে ৬০০, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০, ছোট ইলিশ ৭০০ থেকে ৯০০, সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২০০, সরপুটি ২২০, মিগৃেল ২৬০, নলা ২৪০, বড় চিংড়ি ৬৮০ থেকে ৭০০, ছোট চিংড়ি ৬৪০, বাইলা মাছ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।


মাংস ও ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০, সাদা লেয়ার ২৫০, পাকিস্তানি ৩০০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও হাসের ডিমের হালি ৮৫ ও ডজন ২৫৫ টাকা, ফার্মের সাদা ডিমের হালি ৫০ এবং ডজন ১৫০ ও লাল ডিমের হালি ৫৫ এবং ডজন ১৫৫ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।