কক্সবাজার সরকারি কলেজের লোগো ‘নৌকা’ সরিয়ে ‘সূর্য-কলম’
জাতীয়
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারি কলেজ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ কলেজের লোগোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। লোগো ঠিক রেখে শুধুমাত্র নৌকা সরিয়ে এর পরিবর্তে যুক্ত করা হয়েছে সূর্য। এর নিচে থাকা বই, খাতা ঠিক রেখে বইয়ের উপর যুক্ত করা হয়েছে কলম।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) একাডেমিক কাউন্সিলরের বৈঠকে নতুন লোগো অনুমোদন পায়।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমান বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লোগোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়।
অধ্যক্ষ জানান, ২০১৮ সালে দুইটি মোমবাতি ছিলো মাঝখানে। সেটি পরিবর্তন করে নৌকা আনা হয়। তবে বিষয়গুলো অগোছালোভাবে ছিলো বলে জানান তিনি।
কলেজ থেকে পাওয়া মনোগ্রামের বিবরণ:
১) ২১টি তারা (একুশে ফেব্রুয়রি-মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে বোঝায়)
ফরিদপুর শহরের বায়তুল আমান এলাকার শাহিন অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে চুরি হওয়া ছোট বড় ১১টি গরু পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় দুই জনকে আটক করা হয়।
শাহিন অ্যাগ্রো ফার্ম এর মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৮ অক্টোবর রাতে ফার্মের কর্মচারী ইউনুস মন্ডল ছোট বড় ১১টি গরু চুরি করে পালিয়ে যায়। পরদিন কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পরে পুলিশ পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার একটি বাড়ি থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে বুধবার ৩০ অক্টোবর বিকেলে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে ফার্মের মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
গরুগুলোর মূল্যে ৩০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর থানার বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আয়েশা (৩৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাকছুদের রহমান।
তিনি বলেন, কী কারণে এই ঘটনা সেটা আমরা প্রাথমিকভাবে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ঘটনা। একদল সন্ত্রাসী সেখানে এসেছিলো একজনকে খুঁজতে। এ সময় স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুলি ছোড়ে। সেই গুলি গিয়ে লাগে আয়েশা আক্তারের মাথায়। আয়েশা একজন সাধারণ গৃহিণী।
তবে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, নিচে একদল সন্ত্রাসী মামুন নামের এক যুবককে মারধোর করছিলো। এ সময় সন্ত্রাসীরা মামুনের কাছে চাঁদাও দাবি করে। তাকে বাঁচাতে কয়েকজন স্থানীয় নারী-পুরুষ এগিয়ে গেলে, সন্ত্রাসীরা মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। সেই গুলি লাগে তিন তলায় থাকা আয়েশার মাথায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি চাঁদাবাজির ঘটনা। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এখন এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মাদকের তকমা লাগিয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি চাঁদাবাজির। শুনতেছি যে সন্ত্রাসীরা এসেছিলো, তারা ভাষানটেক এলাকার এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীর লোক। ওই সন্ত্রাসীর নাম মমিন। ঘটনার সময় ২০-৩০ জন মিলে মামুনকে মারধর করছিলেন। মারধরকারীদের মধ্যে দুই থেকে তিনজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েকজনের হাতে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র ছিল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত আয়েশা দুই সন্তানের জননী। তার দেড় বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি শিশু সন্তান আছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারবাড়ি পুকুরপাড়ের পাশের ফুটপাতে সামিয়ানা টাঙিয়ে গড়া হয়েছে দোকানের মতো স্থাপনা। সেখানে টেবিলের ওপর তরে তরে সাজানো সবজি। আলাদা আলাদা বাক্স-ভর্তি লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, মিষ্টিকুমড়া চিচিঙ্গা, বেগুন বরবটি, মরিচ, পেঁয়াজও। আছে আপেল, মাল্টাও। দুই সারিতে দাঁড়িয়ে মানুষেরা সেই সবজি-ফল কিনে নিচ্ছিলেন একেবারে ন্যায্য দামে। বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে পণ্য পেয়ে তাদের চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাস।
সাধারণ মানুষদের জন্য কেনা দামে সবজি বিক্রির এই উদ্যোগ নিয়েছে মানবিক সংগঠন ‘আলহাজ শামশুল হক ফাউন্ডেশন’। সরাসরি কৃষক থেকে সবজি কিনে একই দামে সংগঠনটি পৌঁছে দিচ্ছে ভোক্তাদের হাতে। গত ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। চলবে দ্রব্যে মূল্যের দাম অসহনীয় থাকা পর্যন্ত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বহদ্দারবাড়ি পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে নারী-পুরুষের ভিড়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তাদের কারও যেন ক্লান্তি নেই। নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী সবজি কিনে নিচ্ছেন সবাই। প্রায় ২০জন স্বেচ্ছাসেবক সবজি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। সেখানে লাউ ১৭ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩৫, চিচিঙ্গা ৩৫, মিষ্টিকুমড়া ৪৫, বেগুন ৬৫, বরবটি ৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
সেখানে সবজি কিনতে আসা এক নারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রায় সব ধরনের সবজি কিনলাম। এখানে যে দামে সবজি পেয়েছি বাজারে গেলে হয়তো এর দ্বিগুণ দাম লাগতো। এমন উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
একই কথা বলেন আরেক যুবক। তিনি বলেন, ‘সড়ক দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। এমন সময় ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি হচ্ছে দেখে কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কিনে নিলাম।’
সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাক-সবজি পৌঁছে দিতে দেওয়ার এমন উদ্যোগের পেছনে আছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাজারে শাক-সবজির দামে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। বাজারে এখন যেন কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণে নেই। গরিবের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে সবজির বাজার। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সংগঠনের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেই আমাদের এই যাত্রা। আশা করি আমরা সফল আমরা হব।’ এক মাস ধরে এই কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চিন্তা আছে আলহাজ শামশুল হক ফাউন্ডেশনের।
আর যাদের টাকা দিয়ে একেবারে কেনার সামর্থ্য নেই তারা সবজি সংগ্রহ করতে পারছেন ‘ডোনেট বক্স’ থেকে। অনেক সামর্থ্যবান মানুষ সবজি কিনে এই বক্সে রাখছেন। সেখান থেকে অসহায় মানুষেরা সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
২০০৬ সাল থেকে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।
কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে সিন্ডিকেট দূর করতে বিনা লাভে সবজি-পণ্যসামগ্রী বিক্রির তিনদিন পরই এর প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। একাধিক সবজি দু’দিনের ব্যবধানে ২০-৩০ টাকা কমেছে কেজিতে৷
এই উদ্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকেই জানাজানি হলে বিনা লাভে সবজি বিক্রির স্থানগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে৷ এতে প্রতিদিন জমজমাট হচ্ছে হাট৷
সরাসরি কৃষকের থেকে পণ্য কিনে শহরে এনে তা বিনা লাভে বিক্রি করছেন মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেম সমাজ। নতুন নতুন অনেক সংগঠন এগিয়ে আসছে এমন কাজে৷ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিনা লাভের হাটে মানুষের জমজমাট আনাগোনা দেখা যাচ্ছে৷
এটিকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলছেন সবজি কিনতে আসা ক্রেতারা।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ শহরে তিনটি সংগঠন এই উদ্যোগের সাথে জড়িত৷ এর মধ্যে প্রথমে আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ ফাউন্ডেশন শহীদি মসজিদ সংলগ্ন রোজ ৩টা থেকে সন্ধ্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত কিছু শিক্ষার্থী মুক্ত মঞ্চে দুপুরে এবং সুগন্ধ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বিজেনেস সেন্টার দুপুর থেকে সবজি বিক্রি করছেন। এছাড়াও বুধবার বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলা পৌর এলাকার মঠখোলা রোডে ভয়েস অব পাকুন্দিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে বিনা লাভে সবজি বিক্রি৷
এদিকে শহরের কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দু’দিনের মূল্য থেকে ২০ টাকা কেজি প্রতি বিভিন্ন সবজিতে কমেছে। আজকের বাজারে বেগুন ৬০ টাকা কেজি, শসা ৮০ টাকা, সিম ১৩০ টাকা, লেবু ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা (গতকাল ছিল ৮০ টাকা), ঝিঙা ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে৷ বাড়ানোর পরিবর্তে এখন বরং ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ও বিনা লাভের হাটের সংগঠক আশরাফ আলী সোহান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বাজার সিন্ডিকেট দূর করতে মানুষের জন্য আমরা মাঠে নেমেছি৷ দু’দিনের মধ্যে বাজারে প্রভাব লক্ষ করলাম৷ এমন উদ্যোগ আরো বাড়াতে পারলে সিন্ডিকেটে আঘাত করা যাবে৷’
আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ ফাউন্ডেশনের হাটের স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ আল নোমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে এবং বাজারের কৃত্রিম সিন্ডিকেট দূর করতেই এই হাটে কাজ করছি৷ যতক্ষণ সিন্ডিকেট থাকবে আমরা এভাবেই চালু রাখার চেষ্টা করবো৷ ইতোমধ্যেই বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করছে৷’
বড় বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল হালিম বলেন, কয়েকটি সবজির দাম গতকালের চেয়ে সামান্য কিছু কমছে৷ বিনা লাভের হাটের জন্য এই কমা আমার ধারণা৷ তবে সিন্ডিকেট দূর করতে প্রশাসনিক সহযোগিতা ও উদ্যোগ জরুরি।