চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলিসহ নাজিম উদ্দিন (৪৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাজিম উদ্দিন ফটিকছড়ি উপজেলার শাহনগর এলাকার মৃত জাহিদুল হকের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নগরীর চকবাজার থানার একটি বহুতল ভবনের মেইন গেইটে অবস্থান করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত আটটার দিকে নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
নাজিম উদ্দিনের দেহ তল্লাশির সময় তার পরিহিত প্যান্টের পেছনের কোমর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে সেটি বহন করছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকবাজার থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামাসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট দীর্ঘ দিনের যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ফলে যানজটের নিরসন ঘটিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ।
গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫৩৮টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ সংক্রান্তে ৬২ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযানকালে ৭২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫৩৮ টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ সংক্রান্তে ৬২ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযানকালে ৭২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
এদিকে এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের যানজট কমাতে হবে। অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে’।
বৈঠকে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের অন্তত একটি ট্রাফিক করিডোরে তাদের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কিছু ঘরোয়া সমাধান খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানীয় দক্ষতা ব্যবহার করে সিগন্যালিং সিস্টেম ঠিক করতে বলা হয়। ট্রাফিক সমস্যার কিছু দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে ডিএমপিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুয়েটের পরিবহন ও ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বৈঠকে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি বলেন, শুধু ঢাকা শহরে যানজটে প্রতিবছর দেশের অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খ. নাজমুল হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করার পর ট্রাফিক পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ মোতায়েন আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এবং ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ।
কুষ্টিয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় তিন দিনের এই লাঠি খেলার উদ্বোধন করা হয়।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট গ্রামের ‘আপডেট কুষ্টিয়া’ ফেসবুক পেজ ও ‘সাপ্তাহিক পথিকৃৎ’ পত্রিকা ব্যানারে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী অর্পণ মাহমুদের উদ্যোগে ষষ্ঠবারের মতো তিন দিনব্যাপী এই লাঠিখেলা শুরু হয়।
লাঠিখেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। ঢোলের তালে তালে, লাঠিয়ালদের অঙ্গভঙ্গি ও নানা কসরতের মাধ্যমে দর্শকদের মন মাতানো এ খেলায় বিভিন্ন এলাকার শতাধিক লাঠিয়াল অংশগ্রহণ করেন।
লাঠিয়ালরা দল বেঁধে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খেলার মাঠ বা খোলা জায়গায় তাদের কসরত দেখাচ্ছেন। সাধারণ মানুষও হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য মুগ্ধ হয়ে দেখছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাদ্যের তালে তালে ঘুরছে লাঠি। লাঠিয়ালদের কলা-কৌশলও নজরকাড়া। শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে নানা কৌশলে লাঠি চালিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চাশ জনের এই দলে খণ্ড খণ্ড আকার হয়ে বাজনার তালে তালে লাঠির কলাকৌশল প্রদর্শন করছেন।
লাঠিয়াল মো. সাদেক আলী জানান, পারিবারিকভাবেই আমরা লাঠিখেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাপ-দাদা থেকে পাওয়া শিক্ষা এটি। ঐতিহ্যবাহী এ খেলায় যেমন দর্শকরা আনন্দ পায় তেমনি এ খেলার মাধ্যমে আত্মরক্ষার নানা দিক তুলে ধরা হয়। এ থেকে নিজের আত্মরক্ষাও শেখা যায়। তবে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এখনও টিকিয়ে রেখেছি। এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি ব্যবস্থাপনা জরুরি বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা থেকে লাঠি খেলা দেখতে এসেছিলেন আবু ওবাইদা আল মাহদী।
তিনি বলেন, শুনেছি এক সময় আউশ ধান কাটার মৌসুম শেষ হলে লাঠি খেলায় মেতে উঠতেন গ্রামের মানুষ। বাড়ির উঠোন কিংবা ধানের খোলায় আসর বসত এই লাঠি খেলার। আগে কুষ্টিয়ার আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি লাঠিয়াল দল ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই খেলাটি আজ প্রায় বিলুপ্ত। অনেকদিন বাদে কুষ্টিয়ায় তিনদিনের লাঠি খেলা উৎসবের খবর শুনে তাই তিনি ছুটে এসেছি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. শামীম উল হাসান অপুু বলেন, ‘লাঠি খেলা দেখে আমি মুগ্ধ। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই খেলা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। তিনি বলেন, লাঠিখেলা চর্চা করলে আত্মরক্ষায় ভালো কাজ দিতে পারে। এই লাঠিখেলা যেন চালু থাকে আমরা তার ব্যবস্থা করব।
খেলার আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য শাহরিয়ার ইমন জানান, কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত প্রায় এ লাঠিখেলা টিকিয়ে রাখতে হলে লাঠিয়ালদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করি। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন লাঠিয়ালদের উৎসাহ দেওয়া হয়, অন্যদিকে গ্রামবাসীদের আনন্দ দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন প্রজন্ম এ খেলাটি সম্পর্কে জানতে পারে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আয়োজক কমিটির আহবায়ক গণমাধ্যমকর্মী অর্পন মাহমুদ বলেন, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আবহমানকাল ধরে বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে এই লাঠিখেলা। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নতুন প্রজন্ম গড়তে এ ধরনের খেলা টিকিয়ে রাখা দরকার বলেও জানান তিনি।
খেলায় অংশ নেওয়া জাহান আলী সর্দারসহ প্রবীণ লাঠিয়ালরা জানান, তারা প্রায় দুই যুগ ধরে বিভিন্ন এলাকায় লাঠি খেলা করে থাকেন। তবে এই খেলার সঙ্গে জড়িতরা প্রায় সবাই গরিব। তারা দুঃখ-দৈন্যে জীবনযাপন করেন। তাদের জন্য সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা নেই। তেমন কোনো ব্যবস্থা হলে নিয়মিত চর্চা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা এই খেলাকে আরও বড় পরিসরে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন বলে আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, লাঠিখেলা বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। ওস্তাদ ভাই সিরাজুল হক চৌধুরী গোল্ডেন সোর্ড ১৯৩৩ সালে বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেন। ওস্তাদ ভাই সিরাজুল হক চৌধুরী প্রথমে নিখিল বাংলা লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করেন। পরে এর নাম হয় বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আন্ডারপাসের দাবিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের সল্লা বাসস্ট্যান্ডে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন আশ্বাস দিলে দেড় ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, মহাসড়কের দু’পাশে অন্তত ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সল্লা এলাকায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বর্তমানে এই মহাসড়ক চারলেনে উন্নতি করণের কাজ চলছে। এখানে আন্ডারপাস রাখা হয়নি। আন্ডারপাস না হলে দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যাবে। আমরা বাধ্য হয়ে আন্ডারপাসের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছি।
পরে ইউএনও আন্ডারপাসের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। দ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে আরও কঠোর অবস্থান কর্মসূচির পালন করবে বলে জানান তারা।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খুব শিগগিরই এলাকার মানুষের দাবি পূরণের চেষ্টা করবো।
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় সোহাগ মিয়া নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে । এছাড়া এই মামলায় অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই আদেশ দেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবির।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্ত ২১ বছর বয়সী সোহাগ মিয়া গাইবান্ধা শহরের রেলওয়ে কলোনীর (মহুরীপাড়া) আশরাফুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া মামলায় খালাস পাওয়া ওই যুবকের নাম বাবু মিয়া ওরফে হোতা বাবু।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারী শহরের গোডাউন রোডের সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সামনে থেকে সোহাগকে ১১১ দশমিক ৫ গ্রাম হিরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়। জব্দকৃত হিরোইনের আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। পরে একইদিন সোহাগসহ দুইজনের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান জানান, মাদক মামলায় সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে এই মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় বাবু মিয়া ওরফে হোতা বাবু নামের একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।