চসিকের সাবেক কাউন্সিলর লিটনের আরও ২ গুদামে অভিযান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক কাউন্সিলর লিটনের আরও ২ গুদামে অভিযান/ছবি: সংগৃহীত

সাবেক কাউন্সিলর লিটনের আরও ২ গুদামে অভিযান/ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে দুইটি গুদামে অভিযান পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সেখানে বিপুল পরিমাণে সিগারেটের প্যাকেট, ব্যান্ডরোল ও বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে। তবে এখনো এসবের পরিমাণ জানা যায়নি।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে নগরীর হালিশহর থানার বউবাজার আমতল এবং ধুপাপাড়া এলাকায় থাকা দুটি গুদামে পৃথক অভিযান চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গুদাম দুটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক প্যানেল মেয়র ও ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁইয়া।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গতকালের অভিযানের প্রেক্ষিতে আজকে তার দুটি পৃথক গুদামে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে আমরা বিপুল পরিমাণে সিগারেটের প্যাকেট, ব্যান্ডরোল ও বিভিন্ন জিনিস পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনার কাজ চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) হালিশহর থানার রমনা আবাসিকের মসজিদ গলির জনৈক ফরিদ ভবনের অভিযান চালায় চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

অভিযানে ভবনটির নিচতলায় থাকা গুদাম থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প, ১৪৮টি সাদা বড় রোল, ৪২৫টি সাদা ছোট রোল, ১২৬টি কালো বড় রোল ও ১ হাজার ৩৭টি কালো ছোট রোল জব্দ করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে, জব্দ করা উপকরণ দিয়ে ওরিস ও ইজি লাইটসের মতো বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেটের নকলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরি করা হতো। আর তৈরি সিগারেট চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বাজারগুলোতে বিক্রি করা হতো। দেশের অবৈধ সিগারেটের বাজারের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করত আবদুস সবুর লিটন ও তার ভাই আবদুল মান্নান খোকনের মালিকানাধীন ‘বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো’ ও ‘তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো’ নামের দুই প্রতিষ্ঠান।

এসব কারখানায় প্রস্তুতকৃত সিগারেটে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো হত। ভ্যাট গোয়েন্দা একটি টিম তদন্ত করে এসবের সত্যতা পেয়েছিলেন কয়েকবছর আগেই। তবে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের এক মন্ত্রীর প্রভাবের কারণে শেষমেষ লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি এনবিআর।