ডিসেম্বরের মধ্যে আমার দেশ বাজারে আসার ঘোষণা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা আমার দেশ আবারও বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

বিজ্ঞাপন

মাহমুদুর রহমান বলেন, যতই কষ্ট হোক ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবার আমার দেশ মানুষের হাতে তুলে দিব। হাতে আর আড়াই মাস আছে। অফিস পেয়ে গেলে আশা করি এর আগেই আমরা আসতে পারব। আমরা ডিসেম্বরে আবার আসবো, আমার দেশ আবার জনগণের পক্ষে কথা বলবে। ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার নতুন করে প্রেস বসানো সময়ের ব্যাপার, অনেক সময় লাগবে। অথচ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। যেটার প্রতিরোধ করতে আমার দেশের মত মিডিয়া দরকার। আমার দেশ কর্পোরেট স্বার্থের বাইরে, কোনো দলের স্বার্থের বাইরে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রেসের কিছুই অবশিষ্ট নাই, জমিটা শুধু আছে। একটা নতুন প্রেস করতে যে টাকা প্রয়োজন সে অর্থ আমার নাই। আমরা যারা আমার দেশের পরিচালক তারা সবাই সীমিত অর্থের মালিক। আমরা কোনো কর্পোরেট মিডিয়া না, কোনো দলীয় মিডিয়া না। আমরা কষ্ট করে এটা চালাতাম। এই পত্রিকা চালাব, লেখালেখি করব এটাই আমার ইচ্ছা।

মাহমুদুর রহমান বলেন, দুদিন আগে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তালা ভেঙে আমার দেশ প্রেস আমাদের বুঝিয়ে দেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই প্রেসের আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। এমনকি ইলেকট্রিক প্যানেল পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দুটি মেশিনের খন্ডাংশ পড়ে আছে, যেগুলো ভাঙা সম্ভব না বলে চুরি করে নিয়ে যেতে পারে নি। এগুলো যে টুকরো-টুকরো করে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার কিছু প্রমাণ প্রেসের মধ্যে পড়ে ছিল। দেখে মনে হয়েছে শেখ হাসিনা আমাকে টুকরো করতে না পেরে আমার দেশ পত্রিকার প্রেস টুকরো টুকরো করেছে।

তিনি আরও বলেন, যেদিন আমরা আমার দেশ পত্রিকার কম্পিউটার ও অনান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র অন্যত্র স্থানান্তর করতে চেয়েছিলাম, সেদিন আমাদের অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেদিন আমাকে জেলখানায় আটক করা হয়েছিল। জেলখানায় আমাকে একজন খবর দিয়েছিল, আল্লাহর রহমতে তিনি এখনো জেলখানায় জীবিত আছেন। তিনি তখন জামায়াতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আযহার ভাই। আমি শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমার কোনো সহকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি না? আল্লাহর রহমতে আমার কোনো সহকর্মীর কিছুই হয়নি। সবাই নিরাপদে ছিলেন। ওই মুহুর্তে এটাই আমার জন্য স্বস্তির সংবাদ ছিল।

তিনি বলেন, মিডিয়ার চরিত্র বোঝার জন্য তিনটি উদাহরণ দেই। তার আগে বলে রাখি মিডিয়া বলতে বাংলাদেশে মালিক এবং সম্পাদকই সবকিছু। ১. আমার দেশ ওই সময় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা হওয়া সত্ত্বেও আমাকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ দেয়া হয়নি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান হাফিজকে ধন্যবাদ জানাই তিনি বিলম্বে হলেও আমার সদস্যপদ দিয়েছেন। ২. আপনারা জানেন পত্রিকার মালিকদের সংগঠন নোয়াব, শুনলে অবাক হবেন আমার দেশকে নোয়াবের সদস্যপদ দেয়া হয়নি। আরেকটি আছে সম্পাদক পরিষদ, সেখানেও আমাদের দেশকে সদস্যপদ দেয়া হয় নাই। কারণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে আমার দেশ বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিল। কাজেই কোনো পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক আমার দেশ পত্রিকার পক্ষে ছিলেন না। তারা বরং আনন্দিত হয়েছেন।