নিহত সুলতান সরকার ওই গ্রামের মৃত সামেদ আলী সরকারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাবতলী থানার অফিসর ইনচার্জ (ওসি) আশিক ইকবাল বলেন, মরিচ ক্ষেতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বজ্রপাতের কথা জানিয়ছেন। এছাড়া লাশের সুরতহালেও বজ্রপাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দুই দফা দাবি আদায় না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র ঘোষণা দিয়ে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেন। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে অবসানের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের ৯টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর বিভাগীয় সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে চান। তাছাড়া দাবি আদায়ে সারা দেশের কর্মীরা ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এর আগে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ১০ জন জিএম, ডিজিএম ও এজিএমের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ ছাড়াও নির্দেশনা অবজ্ঞাসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে তাদের চাকরি থেকে অবসানের আদেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এরই মধ্যে ওই ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সমন্বয়করা। সেই সঙ্গে আরইরিব চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরইবির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পৌনে ১২টার দিকে জারিয়া-ময়মনসিংহ রেলপথের পূর্ববুধি কুড়পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে জারিয়া থেকে ঢাকাগামী ৪৯নং বলাকা কমিউটার আপ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঐ ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার নাম পরিচয় জানাযায়নি।
পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশনের সাবেক বুকিং সহকারি আব্দুল মোমেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনটি যখন রেলপথের পূর্ববুধি এলাকার ১২নং ব্রীজের কাছাকাছি আসে তখন ৪০/৪৫ বছর বয়সের ঐ ব্যক্তিটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) উপ-পরিদর্শক অমিত হাসান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে । আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যানবহনের ধাক্কায় লুসি বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ভোর ৬ টার দিকে নায়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন ঝিল্লি পাড়া মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লুসি বেগম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের দালালপাড়ার তাইজুল ইসলামের স্ত্রী।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, লুসি বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ভোরের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ- সোনামসজিদ মহাসড়কের ঝিল্লিপাড়া মোড়ে সম্ভবত রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় কোনো একটি যানবহন ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ব্যাপারে ওসি জানান আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান।
বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী এবং মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় ওয়াগ্যেই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা। ওয়াগ্যেই পোয়েকে ঘিরে উৎসব মূখর হয়ে উঠেছে পুরো পাহাড়ী জনপদ বান্দরবান।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জেলা সদর ছাড়াও পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলছে ধর্মীয় ও আদি সামাজিক নানান ঐতিহ্যের অনুষ্ঠান। জগতের মঙ্গল কামনায় বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা। সকালে বিহারে বিহারে ধর্মীয় গুরুদের ছোয়াইং দান (ভান্তেদের ভাল খাবার পরিবেশন) এবং সমবেত প্রার্থনা করা হয়। সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
এটি একদিনের অনুষ্ঠান হলেও বান্দরবানে মারমা আদিবাসীরা দুই দিনব্যাপী এই উৎসব পালন করে নানান আয়োজনে। প্রতিবার প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবকে ঘিরে উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বান্দরবানে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এবার তা হচ্ছে না। শুধুমাত্র আজ বিকালে বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ী থেকে রথ টেনে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার ও উজানী পাড়া বৌদ্ধ বিহারে নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকালে আবার সেই রথ টেনে সাঙ্গু নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আয়োজন।
প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এই প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান, অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করা।
আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন থেকে টানা তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে পঞ্চশীল, অষ্টশীল ও দশশীল গ্রহণ করেন এবং প্রবারণা পূর্ণিমা (মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে:) পালন করে থাকেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গভীর রাতে সাঙ্গু নদীতে রথ বির্সজন ও মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিহারে সমবেত হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল প্রার্থনা মধ্য দিয়ে শেষ হবে ওয়াগ্যেই পোয়ে উৎসব।