বগুড়ায় ২ মাস পর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

২ মাস পর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

২ মাস পর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জেলার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলীহাটা মধ্যপাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে দাফনের ২ মাস ১০ দিন পর তার মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

নিহত সাব্বির হোসেন (১৪) গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা মধ্যপাড়া এলাকায় শাহিন আলমের ছেলে। সে সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সাথে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় সাব্বির। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছিলো পরিবার।

এ ঘটনার পর গত আগস্টের ১৫ তারিখে নিহত সাব্বিরের বাবা শাহিন আমল বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমা ও সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন্নবী। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের তত্ত্বাবধানেই সাব্বিরের মরদেহ ফের দাফন করা হবে।

সোনাতলা ওসি মিলাদুন্নবী বলেন, ‘সাব্বির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। যেহেতু সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করেছিল পরিবার। তাই তদন্তের স্বার্থে মরদেহটি ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত।